।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ তিনি জানাননি, প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি সাংবাদিকসহ কাউকেই।
তামিককে মাঠে দেখতে চায় পুরো দেশ। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তামিমকে নিয়ে ক্রিকেটীয় স্মৃতি এবং আবেগমাখা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন ভক্তরা। এর মাঝেই গুঞ্জন ওঠে তামিমকে ডিনারে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে তামিমের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বিষয়টি গুজব বলে জানা যায়। তবে তার ১২ ঘণ্টা পার না হতেই শুক্রবার (৭জুলাই) এবার গণভবনে গেছেন তামিম। অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতেই মূলত প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকেছেন। বেলা আড়াইটায় গণভবনে প্রবেশ করেন সদ্য অবসর নেওয়া বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার।
জানা গেছে, আজ (৭ জুলাই) সকালেই চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় আসেন তামিম। আগামী ১৮ জুলাই পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে তিনি দুবাই যাবেন। তার আগে আজ দেখা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তামিমের অবসর নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাকে অবসর থেকে ফেরাতে উদ্যোগ আছে বোর্ডেরও। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় বোর্ড পরিচালকদের এক জরুরি সভার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেছেন- সকাল (কাল) থেকে ওকে চেষ্টা করেছি, পাচ্ছি না। নাফিস ইকবালের মাধ্যমেও পাইনি। আমার সঙ্গে এখন অবধি যোগাযোগ হয়নি। আমি নাফিসের কাছে একটা মেসেজ পাঠাই, ওর সংবাদ সম্মেলনের পর। আমি বলেছি আমি চাই তামিম অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজ শেষ করুক। এরপর আমরা বসে ঠিক করব কী করা যায়। তার মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের এমন করা ঠিক হচ্ছে না। তার দলে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সাম্প্রতিক বক্তব্যই তাঁকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে বলে ধারণা করছেন সবাই। তামিম নিজেও নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, বোর্ড সভাপতির বক্তব্যে তাঁর মনে হয়েছে দলে হয়তো এখন আর সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রয়োজন নেই।