মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু
ডোমার প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর ডোমার ফিলিং স্টেশনে রাখা আইসার ৪৮০,৪৮৫ ও নিউহল্যান্ড টিটি-৫৫ মডেলের তিনটি ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডোমার ফিলিং স্টেশনে।
ডোমার ফিলিং স্টেশনের মালিক ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন ইঞ্জিনের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় তিনটি ট্রাক্টরই পুড়ে গেছে। এবং আমার সিসি ক্যামেরাতেও তাই দেখা গেছে।
ট্রাক্টর মালিক আনজারুল ইসলাম জানান, গাড়ী গুলো নিরাপত্তার জন্য পাম্পে রাখা হয়। কারন এখানে রাতে পাহারাদার ও সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকায় আমাদের কোন চিন্তা হয় না। গাড়ী বাড়ীতে রাখলে মাঝে মধ্যে ব্যাটারী চুরি হওয়ায় ভয় থাকে, তাই গাড়িটা পাম্পে রাখি। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গাড়ী রেখে বাড়ীতে যাই, রাত সাড়ে তিনটার দিকে জানতে পারি গাড়ীতে আগুন লেগেছে। আজকে আমার সব শেষ হয়ে গেল।
গাড়ি মালিক আব্দুল মালেক বলেন, আমার টিটি-৫৫ ইঞ্জিনটি কোম্পানি থেকে কিস্তিতে নেওয়া। বিভিন্ন এনজিও’র কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে কোম্পানিতে দিয়ে অবশিষ্ট টাকা বাকি রেখে গাড়ীটি নেই। এই গাড়ীর উপর আমার সংসার চলে। ইঞ্জিনটি পুড়িয়ে যাওয়ায় আমি নি:স্ব হয়ে গেলাম।
এবিষয়ে পাহারাদার রতন ইসলাম বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করে পাম্পে রাখা একটি গাড়ীর ইঞ্জিন চালু হয়। ইঞ্জিন চালুর সাথে সাথে ফায়ারিং হচ্ছে। আমি বন্ধ করতে না পারায় পাম্পে থাকা লিটন ও রাধা মোহনকে ডাকি। তারা সহকারে এসে দেখি ইঞ্জিনে আগুন জ্বলছে। আমরা অফিসের ভিতর থেকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আসি। তারপরও আগুন না কমায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেয়।
ডোমার ট্রাক্টর মালিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবু জানান, সট সার্কিট হয়ে এভাবে কোনদিন ইঞ্জিনে আগুন লাগতে পারে না।
ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ উন-নবী বলেন, ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য চেষ্টা চলছে।