আজ ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. ইউনূসের বিচার শুরু

  • In আইন ও অপরাধ, জাতীয়
  • পোস্ট টাইমঃ ৬ জুন ২০২৩ @ ০৭:০০ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৬ জুন ২০২৩@০৭:০০ অপরাহ্ণ
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. ইউনূসের বিচার শুরু

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচারকাজ শুরু হলো। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। মামলায় অপর বিবাদীরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালতে ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনিসহ চারজন বিবাদী নিজেদের নিরপরাধ দাবি করেন। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান তারা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।
আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেছেন। হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ মামলা করা হয়েছে। মামলার ঘটনা দেওয়ানি প্রকৃতির। অথচ ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ গঠনের আদেশের হুবহু অনুলিপি সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে আদালত এখন পর্যন্ত কোনো আদেশ দেননি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
এদিকে গত ৩০ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান আসামি করে আরও ১২ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

নিপ্র/কেএইচ/তারিখঃ ০৬০৬২৩/১৯;০০

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights