।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার প্রধান বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসা বিশালাকার ধাতব গোলকটি নিশ্চিতভাবে একটি রকেটের অংশ। তবে এটি ভারতীয় রকেটের অংশ কিনা তা বিশ্লেষণের আগে বলা যাবে না বলে জানান তিনি।
গত সপ্তাহের শেষে পার্থ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে গ্রিন হেড বিচে ওই ধাতব গোলকটি ভেসে আসার পর নানা ধারণা ডালপালা মেলতে শুরু করে। অনেকে এটাও বলতে থাকেন যে, এটি হয়তো ভারতের সম্প্রতি উৎক্ষেপণ করা চাঁদ অভিযানের রকেটের অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা দ্রুত এই ধারণা উড়িয়ে দেন।
ধাতব গোলকটি প্রায় আড়াই মিটার চওড়া। এছাড়া লম্বায় প্রায় আড়াই থেকে তিন মিটার। এনিয়ে ওই বিচের আশেপাশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল তৈরি হয়।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল এটি ২০১৪ সালে অস্ট্রেলীয় উপকূলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এমএইচ৩৭০ উড়োজাহাজের অংশ। এটি ২৩৯ আরোহী নিখোঁজ হয়েছিল। তবে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা দ্রুত জানিয়ে দেন, ধাতব গোলকটি কোনোভাবেই কোনো বাণিজ্যিক বিমানের অংশ হতে পারে না। আর এটা কোনো রকেটের জ্বালানির ট্যাংক হতে পারে যা হয়তো কোনো পর্যায়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ান মহাকাশ সংস্থা তখন জানিয়ে দেন, ধাতব গোলকটি ‘বিদেশি মহাকাশ উৎক্ষেপণ যান’ থেকে পড়ে যেতে পারে। এরপরই আলাপ উঠতে শুরু করে যে, এটি পিএসএলভির জ্বালানির ট্যাংক হতে পারে। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলস বা পিএসএলভি ব্যবহার করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) নিয়মিতভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে থাকে।
গত শুক্রবার ইসরো চন্দ্রযান-৩ নামে একটি মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ করেছে। ধারণা করা হতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে পাওয়া ধাতব গোলকটি ওই মহাকাশ যানের অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছিলেন, এই গোলকটি গত কয়েক মাস ধরে সাগরে পড়ে রয়েছে।
ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন, ‘ওই গোলক নিয়ে কোনো রহস্য নেই। এটা কোনো রকেটের অংশ। এটা একটা পিএসএলভি কিংবা অন্য যেকোনোটার হেতে পারে। যতক্ষণ না আমরা এটা বিশ্লেষণ করছি ততক্ষণ এটা আমাদের কিনা তা নিশ্চিত নয়।’ ওই ধ্বংসাবশেষ নিয়ে কোনো বিপদ নেই বলেও জানান এস সোমনাথ। অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ গোলকটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।