।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বগুড়ার শেরপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১০জুলাই) সকালে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বাজার (ফায়ার সার্ভিস স্টেশন) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নুরজাহান বেগম (৫২)।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বিগত দুইবছর আগে মহিপুর বাজার এলাকায় আসেন নুরজহান বেগম। এমনকি সেখানে ভাসমান অবস্থায় থাকতেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। আর স্থানীয় বাসিন্দা ঘাতক আব্দুল মজিদও ভবঘুরে জীবন যাপন করতেন। তিনিও একই বাজারে থাকতেন। এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানায়, একপর্যায়ে ওই নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিকবার তাকে কু-প্রস্তাব দেয় মজিদ। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া দেননি ওই নারী। বরং বিষয়টি এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে জানান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঘাতক মজিদ।
এরই জেরে সোমবার সকালে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় ঘাতক মজিদ কাঠের বাটাম দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে বেধড়ক পেটায়। এতে তার মাথা ফেটে রক্তপাত শুরু হয়। এছাড়া শরীরের একাধিক স্থানেও মারাত্মক জখম হয়। পরে ওই নারীর চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। সেইসঙ্গে ঘাতক মজিদকে আটক করে রাখেন। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান নুরজাহান বেগম।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, এই ঘটনায় আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেও ভবঘুরে জীবন-যাপন করতো। ঘটনার পর থেকে কোনো কথা বলছে না। তাই কী-কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। ওসি আরো বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।