বিডিহেডলাইন্স ডেস্ক:
ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সোমবার (১৫মে) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম।
ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২৩মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন। আরেক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা সাক্ষ্য দেবেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত সাতজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রনি মজুমদার এ তথ্য জানান।
এ মামলার আসামিরা হলেন শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এসএম ফরহাদ। গত বছর ২৯নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৭জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩শ গজ উত্তর পাশের পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোপের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩২বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মরদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে মরদেহের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
তদন্তকালে জানা যায়, মরদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। দাম্পত্য কলহের জের ধরে ১৬জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭-৮টার মধ্যে যেকোনো সময় খুন হন শিমু।
শিমুকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে গত ২৯আগস্ট কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দুইজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ।