জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল
জামালপুর প্রতিনিধি।।
উপজেলার বিনোদটঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নাহিদা আক্তারের বিরুদ্ধে এক দরিদ্র শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুল শিক্ষার্থীর পিতা শহিদুল্লাহ। তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার শফিকুল হায়দারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
এনিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস’সহ বিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শরীফা নামের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিনোদটঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার ক্লাস রোল নম্বর ২।
শরীফার বাবা শহিদুল্লাহ ভাষ্য, প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তির পর থেকেই আমার মেয়ে উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছেন না। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত অনেকেই উপবৃত্তির টাকা পেলেও পায়নি শরীফা। এতে বিষয়টি সন্দেহ হলে আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি তৃতীয় শ্রেণির উপবৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকায় শরীফার নাম থাকলেও নগদ অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেওয়া হয়েছে অন্যজনের। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই নগদ নাম্বারটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এক স্বজনের।
এ ঘটনায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত ৩০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ৯ নভেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাহিদা আক্তার উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার জন্য তার বাড়ীতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি উপবৃত্তির টাকা শিক্ষিকার হাত থেকে গ্রহণ করিনি। এই অবস্থায় ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছি।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাহিদা আক্তার বলেন, ওই শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন কার্ড জমা না দেওয়ায় উপবৃত্তির তালিকায় তার নাম ওঠেনি।
এ সময় অভিভাবকের বাড়ীতে টাকা দিতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমীনের কাছে জানতে তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত না।অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শফিকুল হায়দার জানান , উপবৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষের সত্যতা যাচাইয়ের পর প্রতিবেদন দাখিল করবো।