আজ ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে সঞ্জুর বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়ার খামার

ময়মনসিংহে সঞ্জুর বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়ার খামার
ছবি- বিডিহেডলাইন্সময়মনসিংহে সঞ্জুর বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়ার খামার,শরিফুল ইসলাম সঞ্জু

নাজমুস সাকিব
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়া নুকরা। ধবধবে সাদা এই ঘোড়া দেখা যায় হিন্দি সিনেমা বা বিভিন্ন রেইসে। নুকরাসহ বেশ কয়েকটি জাতের ১০টি ঘোড়া লালন পালন হচ্ছে ময়মনসিংহে। তবে, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন জটিলতায় ভুগছেন তিনি। যদিও ঘোড়ার খামার করতে কোন বিধিনিষেধ নেই বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

ছবি- বিডিহেডলাইন্স

হিন্দি বা তামিল সিনেমায় প্রায়ই দেখা যায় ধবধবে সাদা কিংবা কুচকুচে কালো ঘোড়া। বিশেষ করে নুকরা ঘোড়া সিনেমার পর্দায়, রাজকীয় ঐতিহ্য চিত্রায়ণে জুড়ি নেই। নায়কোচিত স্বভাব আর রুপ- আভিজাত্যে সিনেমার দর্শকরা পায় বাড়তি বিনোদন। ছুটন্ত, ক্ষিপ্রগতির ঘোড়া আকৃষ্ট করে তাদের। এসব ঘোড়া অনেক দেশের ধনীরা সৌখিনতার বসে বাড়িতে পালন করেন। সখের বসে বিদেশি জাতের ঘোড়া লালন পালন করেছেন শরিফুল ইসলাম সঞ্জু নামে ময়মনসিংহের এক যুবক। প্রাথমিকভাবে মারোয়ারি, সিন্ধি, নুকরাসহ বিভিন্ন জাতের ১০টি বিদেশি ঘোড়া নিয়ে খামার স্থাপন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সঞ্জু।

ছবি- বিডিহেডলাইন্স

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া কোকিল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সঞ্জু। দুই বছর আগে ভারতের রাজস্থান, বিহার আর পাঞ্জাব থেকে ১০টি ঘোড়া নিয়ে আসেন। তারপর নিজের বাড়িতেই গড়ে তোলেন ঘোড়ার খামার। ইতোমধ্যে দুটি ঘোড়া বিক্রি করেছেন তিনি। নিজেই করেন ঘোড়ার দেখবাল, পাশাপাশি পরিচর্যার কাজে সহকারী হিসেবে নিয়েছেন আরও দুইজন শ্রমিক।

সঞ্জু দেশের ঘোড়ার চাহিদা পূরণের স্বপ্ন দেখছেন। তবে, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন জটিলতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই ঘোড়া লালন পালনের শখ ছিলো। ছাত্র অবস্থায় অনেকবার ঘোড়ার রেসের আয়োজন করেছিলেন তিনি। সখ থেকেই ঘোড়ার খামার স্থাপন করা জনিয়ে শরিফুল ইসলাম সঞ্জু বলেন, শখ থেকে এখন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আমি এখন ঘোড়ার খামার করার স্বপ্ন দেখছি।

শরিফুল ইসলাম সঞ্জু আরও বলেন, দেশে ঘোড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাষ্ট্রিয় বিভিন্ন বাহিনীর জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে বিদেশ থেকে ঘোড়া আমদানি করা হয়। অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তিরা শখের বসে ঘোড়া পোষে। সরকার একটু উৎযোগি হলে দেশেই উন্নতজাতের ঘোড়া উৎপাদন করা সম্ভব। যদি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিবন্ধন দেয় তাহলে ঘোড়া উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের ঘোড়ার চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।

ছবি- বিডিহেডলাইন্স

নিবন্ধনের বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মনোরঞ্জন ধর বলেন, ঘোড়ার খামার করতে কোন বিধিনিষেধ নেই। কোন উদ্যোগতা যদি ঘোড়া লালন পালন বা খামার করতে চায় তাহলে আমরা তাকে সর্বোচ্চ সহযোগী করবো। উপজেলা বা জেলার ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে ঘোড়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রধান করা হবে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights