।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
লক্ষ্মীপুরে এক দফা দাবিতে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া, গুলি ও এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় মোট ৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ২টি মামলার বাদী। এছাড়া, নিহত সজীবের (২৫) বড় ভাই সুজন হোসেন ১টি এবং একজন আইনজীবী আরেকটি মামলা করেন।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এসব মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ৪ মামলায় এজাহার নামীয় ৫৫ জনসহ মোট আসামী ৩ হাজার ৮৫৫জন। লক্ষ্মীপুরে সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মোসলেহ উদ্দিন রাত ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান- নাশকতা ও বিস্তারক আইনে একটি মামলার বাদি লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আনিসুজ্জামান। পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছে পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ আহত হওয়ার অভিযোগে। মামলার বাদী একই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক।
তৃতীয় মামলার বাদী নিহত সজীবের বড় ভাই সুজন। এ মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
চতুর্থ মামলার বাদী আইনজীবী নুরুল আমিন রাজু। বসত বাড়ীতে ও ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এ মামলা করেন তিনি।
ওসি জানান- ৪টি মামলায় মোট আসামি ৩ হাজার ৮০৫ জন। তাদের মধ্যে ৫৫ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি ৩ হাজার ৭৫০ জন। বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত এসব মামলার কোন আসামী গ্রেপ্তার হযনি। পুলিশের করা বাদি ২টি মামলাতেই জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেপ্তার আতঙ্ক দেখা দেয়। গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন এবং তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। মামলা নিয়ে কথা বলার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীন সাবুর মোবাইলে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আরো এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এনির ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।