।।কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি।।
বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নে আড়োলা বাজারে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা খুলে গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এই ব্যাংকিং শাখার এজেন্ট ও মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ মাসুদুর রহমান (৩২) কে গ্রেফতার করেছে কাহালু থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রোববার ভোর রাতে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাসুদুর রহমান কাহালু উপজেলা নারহট্র ইউনিয়নের শিলকওড় গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের পুত্র ও কাপাসিয়া পূর্ব লোহাদী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে কাহালু উপজেলার আড়োলা বাজারে মাসুদুর রহমান অগ্রণী ব্যাংকের একটি এজেন্ট শাখা খুলেন। এখানে লক্ষ লক্ষ টাকা রাখা প্রতারিত গ্রাহকরা জানান, এই এজেন্ট শাখায় শতাধিক গ্রাহক একাউন্ট খুলে প্রায় কোটি টাকার মতো জমা রাখেন। যখন গ্রাহক তাদের প্রয়োজনে এজেন্ট শাখা টাকা তুলতে যান তখন সময়ক্ষেপন করেন মাসুদুর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সটকে পড়েন তিনি।
গ্রাহক আকবর আলী জানান, তার ছেলেরা বিদেশ থাকেন। ছেলেদের পাঠানো ৭ লক্ষ টাকা আড়োলা এজেন্ট শাখায় রেখে প্রতারিত হয়েছেন। মাসুদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর কাহালু থানায় ভীড় জমান প্রায় ২০/২৫ জন গ্রাহক। তারা জানান, কেউ সন্তানকে বিদেশ পাঠানোর জন্য, কেউ হজ্ব করার জন্য, আবার কেউ প্রবাসীদের পাঠানো লক্ষ লক্ষ টাকা এই এজেন্ট শাখায় জমা রেখে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারা প্রতারিত হওয়ার পর অগ্রণী ব্যাংকের বগুড়া ও ঢাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও জমা টাকা না পেয়ে কাহালু থানায় মাসুদুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
কাহালু থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, উপজেলার আড়োলা গ্রামের আকবর কাজীসহ ১৩ জন গ্রাহক মিলে একটি প্রতারণা মামলা করেন। তাদের জমা রাখা টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এজেন্ট শাখার লোকজন ছাড়াও অগ্রণী ব্যাংকের কোন কর্মকর্তারা এ প্রতারণার সাথে জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।