আজ ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

মোদি-বাইডেন বৈঠকে কেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠবে

  • In জাতীয়, শীর্ষ
  • পোস্ট টাইমঃ ২০ জুন ২০২৩ @ ০৯:১৯ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২০ জুন ২০২৩@০৯:১৯ অপরাহ্ণ
মোদি-বাইডেন বৈঠকে কেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠবে

।।বিশেষ প্রতিবেদক।।

বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশি ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২১ জুন যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। পরদিন ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। বাইডেন-মোদী বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ গুরুত্ব পাবে বলে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো আভাষ দিচ্ছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে তারা সবাই বলছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সাধারণ শত্রু চীনের কথা। বাংলাদেশ চীনের দিকে বেশি ঝুকে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়ের জন্যই তা ক্ষতিকর হবে; সেই বিবেচনায় এই বৈঠকে বাংলাদেশ গুরুত্ব পাবে বলে তাদের মত।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বাধাপ্রদানকারীদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হবে বলে আমেরিকা সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মোদী ও বাইডেনের আলোচনায় সে প্রসঙ্গ আসবে কি না ভারত সরাসরি তার কোনও জবাব দেয়নি। তবে মিয়ানমার সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে এদিন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, “আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ যে কোনও বিষয় নিয়েই দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হতে পারে। ঠিক কোন কোন ইস্যুতে তাঁরা কথা বলবেন, তা নিয়ে আগেভাগে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” তবে দিল্লিতে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বিবিসি বাংলাকে আভাস দিয়েছেন, বাংলাদেশে ‘সুষ্ঠু গণতন্ত্রের স্বার্থে’ আমেরিকা সম্প্রতি যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে দিল্লি তাদের মনোভাব অবশ্যই ওয়াশিংটনের কাছে তুলে ধরবে।

ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এজেন্ডায় দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক রাজনীতি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – আর সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে উপেক্ষা করা দুই দেশের কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। বিবিসি বাংলা আরও জানতে পেরেছে, নরেন্দ্র মোদীর সম্মানে বাইডেন দম্পতি হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে যে নৈশভোজ এবং আলাদা করে যে সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন, তার দুটিতেই ওয়াশিংটনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুহাম্মদ ইমরান এর আগে দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন – এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ মোদী সরকারের বহু কর্মকর্তা ও নীতি-নির্ধারকের সঙ্গেই তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচয় রয়েছে। কূটনৈতিক মহলের অভিমত – বাংলাদেশকে হোয়াইট হাউসের অনুষ্ঠানগুলোতে (এবং সেই সঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশনে) আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে দিয়ে এটা স্পষ্ট যে ভারত-মার্কিন আলোচনায় বাংলাদেশের ছায়া পড়বেই।

গত সপ্তাহে দিল্লিতে ভারত ও আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে বৈঠকেও বাংলাদেশে মার্কিন ভিসা-নীতির প্রসঙ্গ উঠেছিল বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট করেছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল না কি সেই বৈঠকে বলেছিলেন, “আমেরিকার এমন কিছু করা উচিত হবে না যা এই (দক্ষিণ এশিয়া) অঞ্চলে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করে” তাঁকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল ভারতের একটি প্রথম সারির দৈনিক। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সেই রিপোর্ট স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটাই করেনি – তবে বাংলাদেশে আমেরিকার সাম্প্রতিক ‘অতি-সক্রিয়তা’ যে দিল্লি খুব সহজভাবে নিচ্ছে না সেই ইঙ্গিত নানা ভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। এই সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদী ও জো বাইডেনের মধ্যে পর পর বৈঠকগুলোতে সে প্রসঙ্গের অবতারণা হওয়াটা তাই শুধু প্রত্যাশিত নয় – একরকম অবধারিত।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights