।।কূটনৈতিক প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশের প্রতি অন্য দেশের নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করে না চীন। বাংলাদেশের সার্মভৌম, স্বাধীনতা এবং অখণ্ডতা রক্ষায় চীন সবসময়েই সমর্থন জানাবে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে সবসময়েই প্রস্তুত চীন। বেইজিংয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াঙ ওয়েনবিন বুধবার এমন মন্তব্য করেন।
ঢাকায় অবস্থিত চীনের দূতাবাস থেকে বুধবার জানান হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক নিষেধ্বাজ্ঞা নিয়ে মন্তব্য করেন, যেখানে দেশটিতে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত এলিট বাহিনী র্যাবের ওপর দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধ্বাজ্ঞা উল্লেখ করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন যে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যে কোনো দেশের সরকার বদলের জন্য ক্ষমতার ব্যবহার করে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তারা এসব নিষেধ্বাজ্ঞায় ভয় পায় না এবং তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন যে যেসব দেশ বাংলাদেশের ওপর নিষেধ্বজ্ঞা দেয় তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের কেনাকাটা না করতে। এই বিষয়ে চীনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক চীনের মন্তব্য জানতে চান।
জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াঙ ওয়েনবিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য আমরা আমলে নিয়েছি। আমরা দেখছি যে একটি দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের জাতিগত বৈষম্য, বন্দুক সহিংসতা এবং মাদকের মত সমস্যাগুলোর দিকে না তাকিয়ে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন ইস্যূতে নাক গলাচ্ছে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আরো অনেক উন্নয়নশীল দেশের অভ্যন্তরীন ইস্যূতে হস্তক্ষেপ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইস্যূতে শক্তভাবে বাংলাদেশি জনগণের অবস্থান ব্যক্ত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিশ্বের বিশেষ করে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর মনের কথা ব্যক্ত করেছেন।
মুখপাত্র ওয়াঙ ওয়েনবিন আরো বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে দুই বন্ধু প্রতিবেশি। বাংলাদেশের সর্বভৌম, স্বাধীনতা এবং অখণ্ডতা রক্ষায় চীন পূর্ণ সমর্থন জানায়। আমরা সবসময়েই বাংলাদেশের সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত এবং চীন অন্য দেশের আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে। চীন জাতিসংঘের সনদ সমুন্নত রাখতে আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির প্রতি সমর্থন জানায়।