নয়ন দাস
শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।
শরীয়তপুর পৌরসভার তুলাসারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে বাড়ির দেয়াল ভাংচুর ও ৭টি দোকান ৮ দিন যাবৎ বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে। পরে ৯৯৯ এর সহযোগিতায় পালং মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই দোকানপাট গুলো খুলে দেয়। এমন ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে দোকান ভারাটিয়া ও জমির মালিক।
আজ বৃহস্প্রতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভুগী জমির মালিক ও ব্যাবসায়ীরা প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এর আগে গত ২৪ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দোকানপাট জোরপূর্বক বন্ধ করে রাখে ও বাড়ির দেয়াল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন জমির মালিক।
জমির মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন খান সংবাদ সম্মেলনে জানান, তুলাসার মৌজায় বিআরএস ২৬১০ নং দাগে ৫১ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন তার পিতা মৃত সামাদ খান। ২০১৫ সালে তাকে ৩১ শতাংশ লিখে দেন এবং তার তিন বোনকে ২০ শতাংশ লিখে দেন। তার এক বোন রুমা খান জুহি ২০১৯ সালে ৩ শতাংশ জমি মো: আমির আলির কাছে রেজিষ্ট্রারী বায়না করনে। কিন্তু সেই রেজিস্ট্রি বায়নায় উল্লেখ ছিলে ৩ মাসের মধ্যে সম্পর্ন টাকা পরিষদ করে জমি সাব কবালা দলিল করে নিতে হবে। ৩ মাস অতিক্রম হলে রেজিষ্ট্রি বায়না বায়না বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু সেই সময় ৪ বছর পার হয়ে গেছে এবং তারা যেই ৩ শতাংশ জমি বায়না করে সেই জমি আমার জমির দক্ষিণ পাশে। কিন্তু তারা জমি না কিনেই ড্রেজার দিয়ে জমি ভরাট করার জন্য বাধ দেন ২ বছর আগে।
এরপর গত ২১ আগস্ট এসে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন সরদারের নেতৃত্বে জামাল সরদার, আমির আলি সরদার, বিল্লাল পাহাড়, সিরাজ সরদার তার নিজের জমির উপরে নির্মান করা মার্কেটের ৭ লক্ষ টাকার দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং রাস্তার পাশে থাকা ৭ টি দোকান ভাড়াটিয়েদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক দোকান বন্ধ করে দেয় ও খুলতে নিষেধ করে। এছাড়াও দোকানে থাকা বিদ্যুৎতের মিটার খুলে ফেলেন। পরর্বতীতে আমি বাড়িতে আসলে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে দোকান খুলে দেয়।
হোটেল মালিক মো: শাহজাহান বলেন, আমার হোটেলে ভাত, পুরি, সিঙারা বিক্রি করি এখানে সব কাচা মাল রয়েছে। যুবলীগের সভাপতি হোসেন সরদার, কানা জামাল সহ আরো ১০ থেকে ১৫ জন এসে দোকান বন্ধ করতে বলে। তখন আমি বলি আমার দোকানে সব কাচামালের জিনিস রয়েছে এখন বন্ধ করে দিলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু তারা কোন কথা না শুনে জোর করে দোকান বন্ধ করে দেন। এই ৭ দিন দোকান বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হয়ে গেছে।
এবিষয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৬ জন পার্টনার মিলে মামুন খানের বোনদের থেকে ১০ শতাংশ জমি ২০১৯ সালে বায়না করি। রেজিস্ট্রি বায়নার কোন মেয়াদ নাই, যতই লেখা থাকুক জীবনেও এর মেয়াদ যাবে না। ৭দিন কেনো বন্ধ রাখা হলো তখন বলেন ৭ দিন বন্ধ রাখি নাই ১ দিন বন্ধ রাখা হয়েছে এর আগে তারা অন্য কোন কারনে দোকান বন্ধ রাখছে তা আমি জানিনা। আর আমি কোন দোকানপাট ও কোন দেয়াল ভাংচুর করি নাই।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, জেলা পুলিশ সুপার আমাকে ঘটনার বিষয় জানায়, খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে ভাংচুর বন্ধ করে দেয় এবং দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়।