।।নিজেস্ব প্রতিবেদক।।
রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে ক্রেডিট কার্ড করার নামে অর্থ আত্মসাৎকারী এবং সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা সজলসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার ক্ষিদিরপাড়া গ্রামের মোঃ ভূট্টু হাওলাদারের পুত্র মোঃ সজল হাওলাদার (২৭)। বর্তমান ঠিকানা, শহিদনগর, থানা- শ্যামপুর ঢাকা,
নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানা বাংশা বাজার গ্রামের সহিদ ইসলামের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৭)। বর্তমানে সে কেএম দাস লেন, থানা- ওয়ারী ঢাকা ও
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার কামারগাও এলাকার মৃত রহমান শেখের পুত্র আবুল হোসেন (৬৫)। বর্তমানে শনির আখড়া, গোবিন্দপুর থানা-যাত্রাবাড়ী, ঢাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
রোববার রাতে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক ও মিডিয়া অফিসার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব এসব তথ্য জানান। এনায়েত কবির সোয়েব বিডি হেডলাইন্সকে জানান- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি দল গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামপুর থানার আইজি গেইট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ক্রেডিট কার্ড প্রতারক চক্রের মূলহোতা সজল হাওলাদার (২৭), সাইফুল ইসলাম (৩৭) ও আবুল হোসেন (৬৫)সহ তিন জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
র্যাব আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ওই ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া এই চক্রটি ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষের নিকট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড, লোন করিয়ে দেয়ার নামে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের না দিয়ে নিজেরাই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে। র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক জানান- গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সজল হাওলাদার এ প্রতারক চক্রের মূলহোতা। সে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ছোট ব্যবসায়ীদের ক্রেডিট কার্ড করে অনুপ্রেরণা দিত। ওই ব্যবসায়ীরা ক্রেডিট কার্ড নিতে সম্মত হলে সজল তাদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এনআইডি কার্ড, মোবাইল নম্বার, ট্রেড লাইসেন্সসহ খরচ বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা নিত।
এএসপি এনায়েত কবির সোয়েব আরো জানান- এই প্রতারক চক্রটি পরবর্তীতে সজল ও তার সহযোগীরা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের না দিয়ে নিজেরাই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নিত। এছাড়া তারা বিভিন্ন ব্যাংক ও সমিতি থেকে লোন করে দেওয়ার জন্য খরচ বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। এছাড়া বিদেশে লোক পাঠানোর নামে সাধারন মানুষের নিকট হতে বিপুল পরিমান টাকা আত্নসাত করেছে। তিনি আরো জানান- গ্রেফতারকৃত আসামী সাইফুল সজলের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করত। সে নিজেকে ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের কাগজপত্রে স্বাক্ষর গুলো গ্রহণ করত। পরবর্তীতে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের পৌঁছে না দিয়ে কৌশলে সম্পূর্ণ টাকা নিজেরা গ্রহণ করত বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা