আজ ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় কবরস্থানের উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন স্বপন

লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় কবরস্থানের উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন স্বপন
ছবি- বিডিহেডলাইন্স

মোঃ বিপুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার।।

জন্মিলে মরিতে হবে, এই চিরন্তন সত্যের পথে
ক্ষমতাবান-বিত্তশালী থেকে শুরু করে শ্রমজীবি মানুষের শেষ আশ্রয়ের আরেক নাম কবরস্থান। ইহজগতে প্রতিটি মানুষের ঠিকানা এক বা একাধিক থাকতে পারে কিন্তু মানব জীবনে মৃত্যুর পর একটাই ঠিকানা সাড়ে তিন হাত জমির উপর প্রাণহীন দেহের বসতবাড়ি ।

বিগত সময়ে লালমনিরহাটের কেন্দ্রীয় কবরস্থানটির সঠিক পরিচর্যার অভাব দেখা দেয়। এমতাবস্থায় পৌরসভার অর্থায়নে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেন্দ্রীয় এই কবরস্থানটির উন্নয়নমূলক সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পৃষ্ঠপোষকতা করায় লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষের ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ।

কেন্দ্রীয় কবরস্থানটি ঘুরে দেখা যায় দেখা,
এই কবরস্থানটিতে ইতিমধ্যে সকলের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে ফুল ও পাতাবহরের গাছ লাগানো হচ্ছে। মশার উপদ্রব হ্রাস এবং লাইটিং সহ কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ঝোপঝাড় পরিস্কার করা হচ্ছে , পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেন বর্ষাকালে কবর দিতে সমস্যা না হয় , নতুন কবরগুলো সারিবদ্ধভাবে দেয়া হচ্ছে যেন সকলেই তার প্রিয়জনের কবর জিয়ারত করতে পারেন। এছাড়াও কবরস্থানের খাদেমদের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কবরস্থানের খাদেম মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ লিপন বলেন, কবরস্থাটির নানান সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে । কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আর এক খাদেম সুজা আলী বলেন, বর্তমানে কবরস্থানটি থেকে আমি যা পাচ্ছি আর যা দেখতেছি মোটামুটি বিগত সময় থেকে অনেক ভালো।

বাবার কবর জিয়ারত করতে এসে,
ফাকল পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মোঃ আতোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাবা গত ফেব্রুয়ারির এক তারিখে মারা যান বিগত সময়েও এই কবরস্থানে আমি মাঝে মাঝে এসেছিলাম। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমি কবরস্থানে বেশি আসা-যাওয়া করি, আগের অবস্থানের থেকে বর্তমান সময়ে কবরস্থানটি অনেক পরিপূর্ণ।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ,মোস্তফা রহমান ও সোহাগ মিয়া বলেন, লালমনিরহাট পৌরসভার আওতায় পরিচালিত এই কবরস্থানটির গাছপালা জঙ্গলগুলো কেটে সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি বিগত সময়ে থেকে অনেক উন্নত হচ্ছে ।

লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন বিডিহেডলাইন্সকে বলেন, মানবজীবনের শেষ ঠিকানাই হলো কবরস্থান। আমার কাছে মনে হয়েছে এই কবরস্থানটির সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আমরা মানসিক প্রশান্তি মিলবে। কবরস্থানটির কাজ চলমান রয়েছে আরো অনেক কাজ বাকি রয়েছে ইনশাল্লাহ কিছুদিনের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights