।। বিডিহেডলাইন্স ডেস্ক ।।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলা সামলাচ্ছিলেন, সে সময়ই ট্রাম্প-মেলানিয়া দূরত্বের গুঞ্জন উঠেছিল। স্টরমি দাবি করেছিলেন, মেলানিয়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিচ্ছেদও ঘটাতে পারেন। তবে এইসব গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করে মেলানিয়া সম্প্রতি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হওয়ার বাসনা পোষণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আছেন।
এবার সূত্রের বরাতে মার্কিন বিনোদন সংবাদমাধ্যম রাডার বলছে, আসলে মেলানিয়া তার নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে রাজি হয়েছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্পকে জুয়ার ঘুটি বানিয়েছেন তিনি।
সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পকে সম্প্রতি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করেন। একইসঙ্গে কলামিস্ট ই জিন ক্যারলের ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানি ও মিথ্যে বলার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।
এসব নিয়ে মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নষ্টেরও গুঞ্জন ওঠে। তবে কিছুদিন আগে মিরর অনলাইনের এক খবরে বলা হয়, শুনানির সময় ট্রাম্পের সঙ্গে না থাকলেও পরে দুই জনের মধ্যে দীর্ঘ আলাপ হয়েছে এবং মেলানিয়া মোটাদাগে ট্রাম্পের পাশে থাকার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
২০২২ সালের নভেম্বরে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে নামছেন তিনি। তখন থেকে এ পর্যন্ত কেবল ট্রাম্পের একটি প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন মেলানিয়া। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মেলানিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন রয়েছে।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে সম্প্রতি পেজ সিক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মেলানিয়া এখন প্রচারের সঙ্গে পুরোপুরি যুক্ত, তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প স্পটলাইট থেকে সরে আসার পরে তিনি আবার ফার্স্ট লেডি হিসাবে কাজ করতে চান।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ট্রাম্প জানিয়েছেন মেলানিয়া গতবারের চেয়ে বেশি করে প্রচারে তার পাশে থাকবেন।’ এদিকে ফার্স্ট লেডি হওয়ার বাসনা পোষণ করে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেলানিয়া বলেন, ট্রাম্পের প্রতি ‘আমার সমর্থন রয়েছে। আমরা একসঙ্গে মিলে আমেরিকার ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদ সৃষ্টি করতে চাই।
কয়েকটি সূত্রের বরাতে রাডার এখন বলছে, ই. জিন ক্যারলকে মানহানি ও মিথ্যে বলার জন্য আদালত ট্রাম্পকে ৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে মেলানিয়া তার এবং ট্রাম্পের প্রাক-বিবাহ চুক্তি নিয়ে পুনরায় আলোচনায় বসেন। সে সময় নাকি মেলানিয়া ট্রাম্পকে নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার বদলে তার কাছে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেন।
সূত্রের দাবি অনুযায়ী, ওই বিচার চলাকালীন মেলানিয়া তার মাসিক ভাতা এবং তাদের ছেলে ব্যারন ট্রাম্পের উত্তরাধিকার বাড়ানোর বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। এর বিনিময়ে, তিনি ডোনাল্ডকে তার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মেলানিয়া ট্রাম্প এখন তার স্বামী সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সূত্রকে উদ্ধৃত করে পেজ সিক্স দাবি করেছে, আগের থেকে অনেক বেশি কাছাকাছি এসেছেন এই দম্পতি। এর আগেও বিপদের সময় মেলানিয়াকে তার স্বামীর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারের সময় এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যখন নারীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন, সে সময় ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী মেলানিয়া।