।।খুলনা ব্যুরো।।
খুলনা নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে আজ ১৪ই আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী নির্বাচনের আগে দেবোত্তর বোর্ড, হিন্দু ফাউন্ডেশন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু কমিশন এবং সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবীতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর ও জেলার আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডুর পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি শ্রী শ্যামল হালদার, মহানগর শাখার সভাপতি শ্যামল হালদার, সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য শ্রী নিভানন কুমার রায়, বাবু মৃনাল হাজরাসহ থানা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি শ্রী কৃষ্ণপদ দাস তার বক্তৃতায় বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশে বসবাসকারী হিন্দু, মুসিলম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সকলে অংশ নিয়েছিল। হিন্দু মা ও বোনেরা অন্যদের সঙ্গে ধর্ষিত হয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে হিন্দুরাও ছিল। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আজও হিন্দুরা অবহেলিত, নির্যাতিত , নিপীড়িত ও নিষ্পেশিত। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইস্তেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের পরিবর্তে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ১৯১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ, দেবোত্তর বোর্ড গঠন ও হিন্দু ফাউন্ডেশন বাস্তবায়নসহ সাতদফা দাবি বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল। দুঃখের বিষয় গত সাড়ে ১৪ বছরেও আওয়ামী লীগ তাদের ইস্তেহার অনুযায়ী হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেনি। এর ফলে হিন্দুদের জমি দখল, নাবালিকা মেয়েদের ফুসলিয়ে নিয়ে আইন বহির্ভুতভাবে ধর্মান্তরকরন, হিন্দুদের উপর হামলা, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মিথ্যা মামলা দেয়ার ঘটনা ঘটেই চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন- আজ বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ তিন দফা দাবিতে দেশব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকার এসব দাবি না মানলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহন করবে বলে জানান তারা।