আজ ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ও ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ এবং ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পড়া মনে রাখার বিশেষ কিছু সহজ কৌশল

  • In লাইফস্টাইল
  • পোস্ট টাইমঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ @ ০২:৫৯ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩@০২:৫৯ অপরাহ্ণ
পড়া মনে রাখার বিশেষ কিছু সহজ কৌশল

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কমবেশি সবার  পড়া মনে থাকে না বা যা পড়ি সব ভুলে যাই এ সমস্যা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই আছে। অনেকে সঠিক নিয়মে না পড়ে বেশি পড়েও কয়েকদিন পর তা ভুলে যায়। সঠিক কৌশল প্রয়োগ করে না পড়লে পড়া ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। পড়াশোনা করতে হলে কম-বেশি সবাই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়। এটি নিয়ে হতাশায় ভোগেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। এর জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু উপায়। পড়া মনে রাখার কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক-

আপনি যেটি শিখছেন তা মন দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করুন। অনেকেই না বুঝে পড়েন। ফলশ্রুতিতে অল্প সময়েই তা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বুঝে পড়লে মনে থাকার সম্ভাবনা ৯ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। আর এ মনোযোগ ধরে রাখতে লক্ষ্য স্থির করুন। বইয়ের কত পৃষ্ঠা থেকে কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত কত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন তা ঠিক করে নিন।

বিশ্রাম নিন। একটানা অনেকক্ষণ না পড়ে ৩০ মিনিট পড়ার পরে ৫ মিনিট এর বিশ্রাম নিন। এছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

সারমর্ম তৈরি করুন। বড় কোনো অধ্যায়ের মূল সারমর্ম তৈরি করুন যেন ঐ সারমর্মটি দেখলেই পুরো অধ্যায়টি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এবার সারমর্মটি ছোট একটি কাগজে লিখে অধ্যায়টি বই এর যে পৃষ্ঠায় রয়েছে তার কোণায় পিন করে দিন। তাহলে মুখস্থ করা সহজ হয়ে যাবে। এছাড়াও কনসেপ্ট ট্রি এর মাধ্যমে লিখতে পারেন। একটি গাছ অংকন করে পয়েন্টগুলো গাছের পাতার মধ্যে এঁকে ফেলুন। গাছটিকে একটি অধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এর প্রতিটি পাতায় অংশ গুলোর নিচে একটি করে সারমর্ম লিখে পড়লে পড়া মনে রাখতে সহজ হবে।

খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো মুখস্থ করার চেষ্টা করুন। তাছাড়াও বড় কোনো বাক্যকে একটি কিওয়ার্ডের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন, যেন ওই কিওয়ার্ডটি দেখলেই পুরো লাইনটি মনে পড়ে যায়। তাহলে, পরীক্ষার সময় ওই কিওয়ার্ডটি মনে করতে পারলে পুরো লাইনটিই আপনার মনে পড়ে যাবে।

নিয়মিত অনুশীলন করুন। আজকে যেটি পড়লেন সেটি পড়ার ৩০ মিনিট পর একবার, ১ দিন পর একবার, ১ সপ্তাহ পর একবার, ১ মাস পর আরেকবার-এভাবে রিপিট করতে থাকুন। বারবার একই বিষয় পড়ার ফলে ব্রেইনের স্মৃতি তৈরির স্থানে গাঠনিক পরিবর্তন হয় যা লং টার্ম মেমোরি তৈরিতে সাহায্য করে।

বেশি বেশি লেখা পড়ার অভ্যাস করতে হবে। লেখা পড়লে আমাদের ব্রেনের অনেক বেশি এলাকা উদ্দীপ্ত হয়। লেখার সাথে ব্রেনের যে অংশগুলো জড়িত তা তথ্যকে স্থায়ী মেমোরীতে রূপান্তর করতে সহায়তা করে।

ব্রেন মূলত স্মৃতি তৈরির কাজ করে ঘুমের ভেতর। গবেষণায় দেখা গেছে সারাদিনের কাজ বা ঘটনাগুলো ঘুমের সময় মেমোরিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এর ফলে যে কোন তথ্য মেমোরিতে রূপান্তরিত করতে চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
Verified by MonsterInsights