।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্রেপ্তারের যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জোহানেসবার্গে এক আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন পুতিন। তার আগে এই সতর্কতা জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার ভূমি ত্যাগ করলে পুতিনের ওপর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বলবৎ হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। আর সেকারণে পুতিনকে গ্রেপ্তারে তাদের সহায়তা করা উচিত।
তবে অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকা ওই চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ২০১৫ সালে সুদানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে নিরাপদে সরে যেতে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বশিরের বিরুদ্ধেও নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন।
গত বছরের আগস্টে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই সময়ে ব্রিকস জোটের সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেয় তারা। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এই জোটটি সাত উন্নত দেশের জোট জি৭ এর বিকল্প হয়ে উঠতে চায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স পুতিনকে গ্রেপ্তারের দাবি নিয়ে আদালতে গেছে। তবে আদালতের নথিতে দেখা গেছে এর কঠোর বিরোধিতা করছেন প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তার মতে এতে তার দেশের জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
এক এফিডেভিটে রামাফোসা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণ করানোর অনুরোধ জানাতে দক্ষিণ আফ্রিকার নিশ্চিত সমস্যা আছে। রাশিয়া স্পষ্ট করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হবে যুদ্ধ ঘোষণা। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানো আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
রামাফোসা আরও জানান, আরও কয়েকটি আফ্রিকান দেশের সঙ্গে মিলে দক্ষিণ আফ্রিকা রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত অবসানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে পুতিনকে গ্রেপ্তার করা হবে উল্টো যাত্রা।