।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
দখলকৃত ক্রিমিয়া উপত্যকার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগ ঘটানো সেতুতে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে বর্ণনা করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে হামলা আখ্যা দেয়নি তারা। তবে অনির্ধারিত খবরে জানা যাচ্ছে সোমবার সকালে সেতুতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
কার্চ নামের সেতুটি ২০১৮ সালে চালু করা হয়। এর মাধ্যমে রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় মস্কোর বাহিনী। গত বছরের অক্টোবরে সেতুতে বড় একটি বিস্ফোরণের পর এর অংশবিশেষ বন্ধ করে দেয়া হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সরবরাহ রুটটি পূর্ণভাবে ফের চালু হয় গত ফেব্রুয়ারিতে।
ক্রিমিয়ায় রুশ প্রশাসনের প্রধান সের্গেই আকসিয়োনভ এক টেলিগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ক্রিমিয়া সেতুতে গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাসিন্দা এবং অতিথিদের ক্রিমিয়া সেতু দিয়ে নিরাপত্তার কারণে চলাচল থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং বিকল্প স্থলপথ ব্যবহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।
এর কিছুক্ষণ পর রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল বেলগোরোদের গভর্নর বিয়াচেস্লভ গ্লাদকভ জানান, ওই ঘটনায় এক মেয়ে শিশুর বাবা-মা নিহত হয়েছে। গভর্নরও এই ঘটনাকে কেবল জরুরি পরিস্থিতি বলে বর্ণনা করেন।
রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিস্ফোরণে সেতুর ভিত্তির কোনো ক্ষতি হয়নি। কেবল সড়কের উপরিভাগ আক্রান্ত হয়েছে। বিবিসির রুশ বিভাগ জানিয়েছে, সেতুর পাশ দিয়ে চলাচল করা ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ট্রেন যাত্রাও বিঘ্নিত হতে পারে।
গত অক্টোবরের বিস্ফোরণের ঠিক কারণ এখনো অপরিষ্কার রয়ে গেছে। ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি ও ট্রাক চলাচলের সময় বিশালাকার একটি অগ্নিগোলক ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ঘটনার আগে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন ক্রিমিয়া সেতুকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হতে পারে। তবে ঘটনার পর দায় নিতে অস্বীকার করে আসছে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।