।।বিশেষ প্রতিনিধি।।
আজ ৯জুুন এসে ভোর হতে ঢাকা সহ দেশের আটটি বিভাগে চলছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। আর সেই সাথে তীব্র গরমের প্রভাব কমে দেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে আছে। তীব্র দাবুদাহের পর এ যেন স্বর্গের সুখ। আর চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির কারণে নাকাল সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ঘণ্টায় ঢাকায় ২মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর ফেনীতে দেশের সবচেয়ে বেশি ৯৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা তাপপ্রবাহের ভোগান্তির পর সামান্য বৃষ্টির দেখা পেয়েছে রাজধানীবাসী। তাতে তাপ কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশজুড়ে কালো মেঘ, সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তাতে গত কয়েক দিনের সেদ্ধ হওয়ার দশা থেকে রেহাই মিললেও দুপুর পর্যন্ত গরম ছিল বেশ। বিকালে এক ঝলক হওয়ায় তাপমাত্রা আরও একটু কমলেও ঝুম বৃষ্টির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। অবশেষে মনের আশা পূরণ হল সারা বাংলার মানুষের। আজ ভোর থেকে বৃষ্টিতে প্রকৃতি ফিরে পেল সজীবতা আর গরমের তীব্রতা থেকে সাধারণ মানুষ পেল একটু স্বস্তি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবীদ একেএম নাজমুল হক বিডি হেডলাইনসকে জানান, তাপমাত্রা কমার বিষয়টি নির্ভর করে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ার ওপর। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে মাটির উপরিভাগ গরম হয়ে আছে। এই বৃষ্টিটা যদি ১-২ দিন ধরে টানা চলত, তাহলে পরিবেশর মাটি পানি জমে ঠাণ্ডা হত।
আবহাওয়াবীদ নাজমুল হক বলেন, “শনিবারের পর থেকে ঢাকায় ভারি বৃষ্টি শুরুর সম্ভাবনা থাকলেও শহরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে আরও ৩থেকে ৫দিন সময় লাগবে। আর সারাদেশে তা লাগবে ৭-৮ দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নীলফামারীর ও সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮দশমিক ৬ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩দশমিক ৩ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাজমুল হক আরো জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের কাছাকাছি এসে গেছে। ধীরে ধীরে সেটা বরিশাল ও ঢাকা হয়ে আরও উত্তরে যাবে। আর মৌসুমি বায়ু এলেই বলা যাবে দেশে বর্ষকাল শুরু হয়েছে।
এতদিন যেমন তীব্র গরমে কুলি দিনমজুর থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ছিল কঠিন বিপদে আজ অতিবৃষ্টির কারণে আবারো একই সমস্যায় সাধারণ মানুষ।
বিপ্র/কেএইচ/০৯০৬২৩/১৬;১৭