।।বিনোদন প্রতিবেদক।।
দেশের প্রথম মৃত নারী বৈমানিককে নিয়ে তৈরি হতে যাচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সিনেমা ‘লারা’। সিনেমাটি তৈরির পেছনের ইতিহাসটা এমন, ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আগুন লেগে এয়ার পারাবতের একটি বিমান ঢাকার পোস্তগোলায় বিদ্ধস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দেশের ‘প্রথম নারী বৈমানিক ফারিয়া লারা’। এবার তাকে নিয়ে নির্মিত হবে সিনেমা ‘লারা’। সিনেমাটি নির্মাণ করা হবে এই নারী পাইলটকে নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘লারা’ অবলম্বনে। এটি লিখেছেন ফারিয়া লারার মা প্রখ্যাত উপন্যাসিক সেলিনা হোসেন।
সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন অভিনেত্রী জোত্যিকা জ্যোতি। এরইমধ্যে লেখিকার থেকে সিনেমাটি নির্মাণের অনুমতি নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন- সেলিনা হোসেন ফারিয়া লারাকে নিয়ে ‘লারা’ নামে একটি উপন্যাসও লিখেছেন। সেই উপন্যাস এবং লারার বৈচিত্র্যময় জীবনের গল্প থেকে উৎসাহিত হয়ে আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রে হাউজ’ থেকে ‘লারা’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় আমাদের এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে অনুদান প্রদান করেছে। জুরিবোর্ড কর্তৃক দারুণভাবে আমাদের গল্পটি প্রশংসিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও উৎসাহিত। লারার অদম্য কাহিনী বাংলাদেশের লক্ষ-কোটি তরুণ-তরুণীকে তাদের জীবনের স্বপ্নের সাথে বেড়ে উঠতে চিরদিন উজ্জীবিত করবে বলেই আমাদের ঐকান্তিক প্রয়াস। তিনি আরও বলেন- ছবিতে লারার মা সেলিনা হোসেনের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ। দুটি চরিত্রেই মানানসই অভিনেত্রী নেওয়া হবে। আমি নিজেও করতে পারি যেকোনো একটি চরিত্র। নিজের ছবি বলে নয়, ভালো চরিত্রের খোঁজে কে না থাকেন! এ বছরই শুটিং শুরু করার ইচ্ছা আছে আমার।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সিনেমাটি ৬০লাখ টাকা সরকারি অনুদান পায়। তবে সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক তিন কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন- আমাকে আরো প্রযোজক খুঁজতে হবে। বড় আয়োজনের ছবি এটি। একজন নারী পাইলটের স্ট্রাগল। লারা’র মতো ডায়নামিক নারীর যে লাইফস্টাইল সেটা নিয়ে ছবি তৈরি করতে এমন বাজেটের বিকল্প নেই। বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার লক্ষ্যেই ছবিটি নির্মাণ করব। জ্যোতি আরো জানান- অনুদানের জন্য ছবিটির প্রাথমিক চিত্রনাট্য জমা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে এর চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। সেটি সম্পন্ন হলে ছবিটির অভিনয়শিল্পীদের নাম ঘোষণা করা হবে।