আজ ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৭৪ শতাংশে

মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৭৪ শতাংশে

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সদ্য বিদায়ী জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে। এরআগে মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এটি গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে। আগের মাস মে’তে যা ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল।

মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশের অর্থ হলো ২০২২ সালের জুন মাসে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ করতে হতো সেই একই পণ্য ২০২৩ সালের জুন মাসে কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ অতিরিক্ত ৯ টাকা ৭৪ পয়সা দাম বেড়েছে।

বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল, এপ্রিল মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ফলে এপ্রিল থেকে বেড়ে মে মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এ ছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে।

মে মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতিরে হার ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, জুন মাসে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে। যদিও ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে আবারও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। তখন সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। সর্বশেষ বাড়তে বাড়তে ক্রেতা নাগালের বাইরে গেছে সব নিত্যপণ্য।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights