।।শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি।।
বগুড়ার শেরপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোরবানির পশুর মূল্য। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় লালন-পালন খরচ বেড়েছে। এ কারণে শঙ্কায় ছিল খামারিরা। ক্রমেই সেই শঙ্কা কেটে গেছে। কোরবানির পশুর দাম ও বাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী। কোনো কোনো খামারি খামার থেকেই এ বছর ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন কোরবানির পশু, যা গত বছর ছিলো ৪৮০ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে গড়ে ১৫ শতাংশ।
বিভিন্ন খামারিদের থেকে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারো গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় পশুর যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও গরুর খামারিরা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেকে ছয় থেকে ১১ মাস আগে দেশের পশুর বিভিন্ন হাট ঘুরে গরু, মহিষ ও ছাগল কিনে লালন-পালন শুরু করেন।
শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ রায়হান পি এ এ জানান, খামারিদের বাইরেও পারিবারিকভাবে আনুমানিক ছয় হাজার কৃষক এক থেকে দুটি করে গরু-ছাগল মোটাতাজা করেছেন।
এবার উপজেলায় কোরবানির পশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭ হাজার ৯২২। তবে খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার প্রায় ৭০ হাজার ১৬২টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এতে প্রায় ১২ হাজার ২৪০টি অতিরিক্ত পশু রয়েছে। বাড়তি পশু দেশের অন্যত্র সরবরাহ করা হবে। তাতে লাভবান হবেন খামারিরা। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৮৩৫টি ষাঁড়, বলদ ৬ হাজার ৮৩৬টি, গাভী ৪ হাজার ৫৭২টি, মহিষ ১১৪টি, ছাগল ৩৬ হাজার ৬৭৩টি, ভেড়া ৩ হাজার ১৩২টি প্রস্তুত রয়েছে। এই সব পশু প্রায় ৩শ ৬৫ কোটি টাকা লেনদেন হবে।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য শেরপুর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ১১টি স্থায়ী-অস্থায়ী হাট বাজার রয়েছে। এ সকল হাটে নিয়মিত পশু ক্রয়-বিক্রয় চলছে। পাশাপাশি কোরবানির পশু নিরাপদ করতে গরু মোটা তাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে খামারিদের পরামর্শ ও খামার তদারকি করছে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর।