।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা আদায়কালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন। শুক্রবার সকালে মতিঝিলের একটি হোটেল থেকে ডিবির লালবাগ টিম তাদের গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারদের মধ্যে একজন দুদকের সাঁটলিপিকার-কাম কম্পিউটার অপারেটর। অন্যরা তার সহযোগী বলে জানা গেছে। এদিকে, চারজনের গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে পুলিশ।
পুলিশ ও দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের এক মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্যক্তিগত সহকারী গৌতম ভট্টাচার্য আরও কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে এক ব্যবাসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। শুক্রবার চাঁদার টাকা আনতে মতিঝিলের একটি হোটেলে গেলে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তবে তারা কত টাকাসহ ধরা পড়েছেন প্রাথমিকভাবে সেটি জানা যায়নি।
এদিকে, শুক্রবার রাতে এক ক্ষুদে বার্তায় ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ জানায়, ‘ডিবির জালে দুদকের চাঁদাবাজ। হোটেলে টাকা নিতে এসে টাকাসহ চারজন গ্রেফতার হয়েছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিডিয়া সেন্টার ব্রিফ করবেন। এ বিষয়ে জানতে বিস্তারিত জানতে হারুন অর রশীদসহ ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনারকে কল করা হলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, গ্রেফতার দুদক কর্মকর্তার গৌতম ভট্টাচার্য। তিনি দুদকের মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. মোকাম্মেল হকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ)। অন্যরা গৌতমের সহযোগী এবং তারা দুদকের কর্মী নন। দুদক আরও জানায়, বিভিন্ন সময় দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে কল করে মামলা বা অভিযোগ নিষ্পত্তি করে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে বিভিন্ন চক্র। এ ধরণের কোন কল আসলে তাদেরকে দুদকে কল করে নিশ্চিত হতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, বিসিএস ১৭ ব্যাচের কর্মকর্তা যুগ্মসচিব মো. মোকাম্মেল হক গত মার্চ মাসে দুদকে মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) হিসেবে যোগ দেন। এছাড়া ২০২৩ সালে সাঁটলিপিকার-কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে দুদকে যোগ দেওয়া গৌতম তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘুসের টাকাসহ আটক হওয়া হওয়ায় পুলিশ গৌতমের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে আদালতে সোপর্দ করবে। এরপর দুদক বিভাগীয় মামলা করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করবে। বিভাগীয় মামলার তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হতে পারে।