।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২১জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সব কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে। সিলেট ও রাজশাহী সিটির ভোট পর্যবেক্ষণে ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ৩হাজার ২০৬ টি সিসিটিভি।
রাজধানীর নির্বাচন ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনাররা ওই সব সিসিটিভির মাধ্যমে ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে- নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরাও দায়িত্ব পালন করছেন। মুলতঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আজ এই দুই সিটির নির্বাচন হচ্ছে সর্বশেষ বড় নির্বাচন।
সিলেটে শেষ মুহূর্তে আরিফুলের ভোট ব্যাংক নিয়ে হিসাব-নিকাশঃ
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার আটজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। কিন্তু বরিশালে নিজেদের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান নির্বাচন বয়কট করেন। ফলে সাত প্রার্থী রয়েছেন মেয়র হওয়ার লড়াইয়ে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান ছাড়া বাকিরা তেমন আলোচনায় আসতে পারেননি। তাঁরা হচ্ছেন, জাকের পার্টির মোঃ জহুরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল হানিফ কুটু, মোঃ ছালাউদ্দিন রিমন, মোঃ শাহজাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
আলোচিত তিনজনের মধ্যে মাহমুদুল হাসান সরে দাঁড়ানোর কারণে এখন আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুলের মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান কতটা হয় তা জানার অপেক্ষায় নগরবাসী। শুরুতে বাবুল আলোচনায় না থাকলেও শেষ দিকে তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে। এখন আর বাবুলকে হালকা করে দেখার অবস্থা নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ক্ষেত্রে সরকারবিরোধীদের ভোটের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল গতকাল এক ভিডিওবার্তায় বলেন- প্রশাসন এক পক্ষের হয়ে কাজ করছে। আমাদের দুর্বল পেয়ে তারা এমন করছে। তবে আমি বলতে চাই, লাঙলের যে জোয়ার উঠেছে, যতই ষড়যন্ত্র করুক, ওই জোয়ার থামাতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লাঙল লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতবে।
রাজশাহীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান লিটনঃ
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এবার চারজন মেয়র প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত বরিশালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি সরে দাঁড়ান। ফলে শেষ দিকের প্রচারে ছিলেন তিনজন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে বেশি প্রচার চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তাঁকেই এবার প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী বলে ধারণা করা হচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। তাঁর সঙ্গে অপর দুই প্রার্থীর তেমন প্রতিযোগিতা হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। অপরদিকে, জয়ের ব্যাপারে আর কোনো মাথা ব্যাথা নেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের। তবে তিনি বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। রাজশাহীর শান্তিপ্রিয় মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হবে বলে জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ারও আশা প্রকাশ করেছেন।
রাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি তাদের ১৬নেতাকর্মীকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে। এই ১৬জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন। তাঁদের পক্ষে মাঠেও নেমেছেন ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা।