।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
বেলারুসের নির্বাসিত বিরোধিদলীয় নেতা স্বেতলানা টিখানভস্কায়া রাশিয়া থেকে পারমাণবিক অস্ত্র স্থানান্তরের বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছেন। এগুলো বেলারুসের ক্ষ্যাপাটে স্বৈরাচারের হাতে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিকে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো নিশ্চিত করেছেন, তার দেশে প্রথমবারের ‘ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা‘ এসে পৌঁছেছে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবারের মতো রাশিয়া নিজ দেশের বাইরে কৌশলগত অস্ত্র মোতায়েন করেছে। আর এনিয়ে ক্ষুব্ধ বেলারুসের নির্বাসিত নেতা স্বেতলানা টিখানভস্কায়া অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমা রাজনীতিবিদরা রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের প্রতি নিরবতা বজায় রাখছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভির এক উপস্থাপককে সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বেলারুসের কর্তৃত্বপরায়ণ নেতা প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো জানান, তার দেশে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা এসে পৌঁছেছে। রসিকতার ছলে তিনি জানান, ধারাবাহিকভাবে আরও অস্ত্র আসবে।
লুকাশেঙ্কোকে রাশিয়ার অন্যতম মিত্র বলে মনে করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর বেলারুসকে হামলা চালানোর কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্র যে বোমা ফেলেছিল, রাশিয়ার বোমা তার চেয়ে তিনগুণ বেশি শক্তিশালী।
উল্লেখ্য, সোভিয়েত পরবর্তী রাশিয়া এবং পশ্চিমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার পর ১৯৯০ এর দশকে ইউক্রেন এবং কাজাখস্তানের মতো বেলারুসও পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করে। ফলে বেলারুস আবার যদি নিজেদের মাটিতে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করে তাহলে সেই সিদ্ধান্ত নস্যাৎ হবে। যদিও এখন পর্যন্ত বেলারুসে রাশিয়ার অস্ত্র পাঠানো হয়ে গেছে- এমন কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই।