।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ডলার সংকটের বিরুপ প্রভাব পড়েছে দেশের এভিয়েশন খাতেও। সংকটের কারণে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ২১৪.১ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)।বিবৃতিতে তারা বলছে, উড়োজাহাজ শিল্পের আটকে থাকা অর্থের ৬৮ শতাংশ আটকে আছে পাঁচটি দেশে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে আইএটিএ জানিয়েছে, উড়োজাহাজ শিল্পের আটকে থাকা অর্থের ৬৮ শতাংশ আটকে আছে পাঁচটি দেশে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। শীর্ষে থাকা নাইজেরিয়া (৮১২.২ মিলিয়ন ডলার), বাংলাদেশ (২১৪.১ মিলিয়ন ডলার), আলজেরিয়া (১৯৬.৩ মিলিয়ন ডলার), পাকিস্তান (১৮৮.২ মিলিয়ন ডলার) এবং লেবানন (১৪১.২ মিলিয়ন ডলার)।
আইএটিএ সতর্ক করে জানিয়েছে, অর্থ আটকে রাখার ক্রমবর্ধমান মাত্রা উড়োজাহাজ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য হুমকি।
আইএটিএ বলেছে, এই শিল্পে ২০২২ সালের এপ্রিলে আটকে থাকা তহবিলের পরিমাণ ছিল ১.৫৫ বিলিয়ন ডলার। যা চলতি বছরের এপ্রিলে ৪৭ শতাংশ বেড়ে ২.২৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আইএটিএ হলো বিশ্বের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন। এটি প্রায় ৩০০ উড়োজাহাজ সংস্থা বা মোট এয়ার ট্র্যাফিকের ৮৩ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। সংস্থাটি উড়োজাহাজ চলাচলের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নীতি প্রণয়নে সহায়তা করে।
আইএটিএ’র মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ জানান, এমন পরিস্থিতিতে এয়ারলাইন্সগুলো এসব বাজারে তাদের সেবা চালিয়ে যেতে পারে না। কারণ, এসব বাজারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে আসা রাজস্ব ফেরত আনা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব। এই পরিস্থিতি সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে, সরকারকে এই শিল্পের সঙ্গে কাজ করতে হবে। যেন উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারে।
আইএটিএ এসব দেশের সরকারকে আন্তর্জাতিক চুক্তি ও চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
নিপ্র/কেএইচ/তারিখ:০৫০৬২৩/১৯:০০