।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দিয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে যাত্রীবাহী করমন্ডল শালিমার এক্সপ্রেস ট্রেন। আর এর কিছুক্ষণের মধ্যে যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট ট্রেনটি দ্রুত গতিতে লাইনচ্যুত ট্রেনের ওপর উঠে পড়ে। তিন ট্রেনের এই ভয়াবহ সংঘর্ষে ওড়িষ্যায় এখন পর্যন্ত ২৮৮ জন নিহত এবং প্রায় সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর সম্ভাব্য পরিচালনাগত ত্রুটি নিয়ে কথা উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে সেই ত্রুটি থেকে এই ভয়াবহ দুর্যোগ ঘটে গেছে।
ওড়িষ্যার বালাসোরে সন্ধ্যা ছয়টা ৫০ মিনিট থেকে সাতটা দশ মিনিটের মধ্যে তিন ট্রেনের মধ্যে দুইটি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় ট্রেনের বগি একটার ওপর আরেকটা উঠে যায়। আবার কোনো কোনোটি আছড়ে পড়ার আগে আকাশেও উঠে যায়। একটি বগির ছাদ মাটিতে উল্টে পড়ে যেতেও দেখা যায়। দুইটি ট্রেনের ১৭টি বগি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়।
একটার পর একটা ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনা কিভাবে ঘটলো তানিয়ে একাধিক মত রয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত একই জায়গায় তিন ট্রেনের মধ্যে দুইটি সংঘর্ষ হয়েছে। আরও অনেক কিছুর মধ্যে এ প্রশ্নও উঠেছে যে, পণ্যবাহী ট্রেন দাঁড়ানো অবস্থায় সেই লাইনে কিভাবে করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন ঢুকে পড়ে। এটা কি পযুক্তির বিভ্রাট নাকি কোনো মানুষের ভুল?
অনেকেই সংকেতে ত্রুটির কথা বলছেন। ভারতের রেল মন্ত্রণালয় সব ট্রেনে ‘কবচ’ নামে এক ধরনের সংঘর্ষ প্রতিরোধী ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ করছে। কোনো ট্রেন যখন সংকেত অমান্য করে একই লাইনের আরেক ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করে তখনই কবচ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই ব্যবস্থাটি ট্রেন চালককে সতর্ক করে, ব্রেকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং লাইনে অন্য ট্রেনের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্র তা থামিয়ে দেয়।
তবে যে রুটে সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে কবচ ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা।
শুক্রবারের দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার কোচগুলো। ছুটির দিন হওয়াতে এসব কোচ ছিল যাত্রী ভর্তি। এমনকি রিজার্ভ ছাড়াও যাত্রীরা সেখানেেউঠে পড়েছিল।
ইডে/এসআর/তারিখ:০৪০৬২৩/১০:৪৪