মিঠু মুরাদ
স্টাফ রিপোর্টার।।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে ডলার সংকট আর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দিয়ে সব ধরনের বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। কমেছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আদায়। একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর এবং শুল্ক স্টেশন সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অবরোধ উপেক্ষা করে বন্দর চালু থাকলেও আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলছে ধীর গতিতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্যবাহী যানবাহন বন্দরে আসতে পারছে না, তেমনি আমদানি পণ্যও পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না সারাদেশে। মন্দাবস্থায় আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকদের। বন্দরে কাজ কমে যাওয়ায় বেকার সময় পার করছে হাজারও শ্রমিক।
বন্দর শ্রমিকরা জানান, ভারতীয় গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও চলমান অবরোধের কারণে বন্দরে পৌঁছাতে পারছে না দেশী গাড়ি। ফলে বেকার সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। পণ্য পরিবহনেও লাগছে বাড়তি সময়।
এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সায়েদুজ্জামান সায়েদ বলেন, দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল না করার কারণে বন্দরে কোনো আমদানিকারক আসতে পারছে না। ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের বুড়িমারী শাখার ব্যবস্থাপক সুজাহ আলী বলেন, ‘সারা বিশ্বে ডলারসংকট চলছে। আমরাও ভুক্তভোগী। আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে যারা ডলার ম্যানেজমেন্ট করে, তাদের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে এলসি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে আমদানি পণ্যের পুরো টাকা জমা দিতে হয়।’
এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর সহকারী পরিচালক, গিয়াস উদ্দিন জানান, বর্তমানে আমদানি ও রপ্তানি আগের চেয়ে কম হচ্ছে। তবে সবকিছু সচল রাখার জন্য যা যা করা দরকার সব করা হচ্ছে।
বুড়িমারী শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস) উপকমিশনার (ডিসি) (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জেনেছি ব্যাংকগুলো এলসি দিচ্ছে না। কিছু এলসি নিলেও শতভাগ নগদ টাকা নিয়ে দিচ্ছে। এলসি না হলে তো ব্যবসা হবে না। ডলারসংকট আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা কমেছে।