আজ ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভাল দাম পেয়ে আগাম খিরা চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি

  • In বিশেষ সংবাদ
  • পোস্ট টাইমঃ ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ @ ০৪:৩২ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৬ ডিসেম্বর ২০২৩@০৪:৩২ অপরাহ্ণ
ভাল দাম পেয়ে আগাম খিরা চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি

উজ্জ্বল অধিকারী
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।।

কম খরচ ও ভাল দাম পেয়ে আগাম খিরা চাষ করায় সিরাজগঞ্জে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। খিরা ও শর্সা চাষ বাম্পার ফলনে পাইকার ও বিক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে খিরা ও শর্সার হাট। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে শত শত টন। প্রতিমণ খিরা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ ও শর্সা ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। যা উৎপাদন খরচের চেয়ে তিন গুণ বেশি। উপযোগী আবহওয়া থাকায় ও গাছের রোগবালাই না হওয়ায় প্রতিবছরই খিরা-শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন নতুন নতুন কৃষকেরা।

উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত এখানকার উৎপাদিত খিরা ও শসা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন ক্ষীরার আড়ৎ থেকে ৬০ ও ৭০ টন ক্ষীরা ও শসা ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শীত মৌসুমে জেলায় খিরা ৩১৪ হেক্টর ও শসা ৩৯৩ চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় খিরা ১০ ও শাসা ২৫, কামারখন্দে খিরা ১১ ও শসা ১২, তাড়াশে খিরা ২২০ ও শসা ৭, কাজিপুরে শাসা ১০, চৌহালীতে খিরা ৫ ও শসা ১৫, উল্লাপাড়ায় খিরা ৫০ ও শসা ৩০০, শাহজাপুরে খিরা ৫ ও শসা ১৫, বেলকুচিতে খিরা ১ ও শসা ১, রায়গঞ্জে খিরা ১২ ও শসা ৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) উল্লাপাড়ার কয়ড়া চরপাড়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক কৃষাণীরা খিরা ও শসা তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা খিরা ও শসা জমির ভিতরে বস্তায় ভরছেন। দূর-দূরান্তের পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা জমি থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, গত ১ মাস ধরে কৃষকরা জমি থেকে আগাম খিরা ও শসা তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। এই কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্দ্ধনগাছা ও চাকশা আড়তে খিরা কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তবে বিক্রির জন্য কৃষকদের দিতে হয় না কোনো খাজনা।

চাষিরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ক্ষীরা ও শসা চাষ করতে প্রায় ১৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এক বিঘা থেকে উৎপাদিত ক্ষীরা বিক্রি হয় ২৭ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ আবাদে পোকা-মাকড়ের ঝামেলা কম, তাই কৃষকের আগ্রহ বেশি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি বছর আগাম খিরা ও শসা চাষাবাদ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বন্যার পানি নেমে যাবার পর পরই উঁচু জমিতে কৃষকরা এ চাষাবাদ করেন। অল্প খরচে ঝামেলাবিহীন এই চাষাবাদ করে কৃষকরা বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করে থাকেন। দাম ভাল পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (উপ-পরিচালক) বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, সিরাজগঞ্জে যেকোন শস্য চাষের জন্য উপযোগী। শীত মৌসুমে জেলায় ৭০৭ হেক্টর জমিতে খিরা ও শসা চাষ হয়েছে। সার্বক্ষণিক উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে। ভালো ফলন হওয়ায় চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা। সামনে আরও বেশি আবাদ হবে বলে আশাবাদী।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights