অনিক চক্রবর্তী
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি।।
চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ২০ প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. কিসিঞ্জার চাকমা সকল প্রার্থীর উপস্থিতিতে ১৩ জনের বৈধতা এবং ৭ জনের মনোনয়ন বাতিলের ঘোষনা দেন।
এর মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের ত্রুটিপূর্ণ স্বাক্ষর, তথ্য গোপন, ঋণ খেলাপী, কর ও বিল বকেয়ার কারণে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ৩ জন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ৪ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
রিটার্নিং অফিসারের কারযালয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তাইজেল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। কারণ, তার আয়করের তথ্য গোপন করা হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার টাকা পৌরকর বাকি রয়েছে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সামসুল আবেদিন খোকনের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের ত্রুটি থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। অরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরোজা পারভীন তথ্য গোপন করেছেন। তিনি পৌরসভায় চাকরি করলেও ফাইলে পেশা হিসেবে ব্যবসায়ী এবং হোমিও চিকিৎসক উল্লেখ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল মল্লিকের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্টান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক ও লঙ্কা বাংলা ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ খেলাপী হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। একইসাথে তার বিদ্যুত বিল ও পৌর কর বকেয়া ছিল। এছাড়া ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় ত্রুটি রয়েছে। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক মোল্লার বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে। এছাড়া ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর হাকিম ও মীর্জা শাহরিয়ার লন্টুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তার আপিল করার সুযোগ রয়েছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর পযন্ত আপিল করা যাবে। আপিলের পর সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের মনোনয়নপত্র আবারও যাচাই বাছাই করা হবে।