মো. জিয়াউর রহমান
নেত্রকোনা প্রতিনিধি।।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেত্রকোনার একটি আসনে স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থী হয়েছেন আপন দুই ভাই।
তারা হলেন, জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হিরিভিটা গ্রামের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক প্রয়াত মমতাজুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মিছবাহুজ্জামান চন্দন ও তার ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে তারা নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তাদের মধ্যে বড় ভাই মিছবাহুজ্জামান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে পাননি। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এবং তার ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
একই আসনে আপন দুই ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সচেতন ভোটাররা বলছেন, জনমতের দিক দিয়ে এলাকায় তাদের দুই ভাইয়েরই যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার মো. মিছবাহুজ্জামান চন্দন বৃহত্তর পেশাজীবী সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর কৃষি প্রকৌশল বিভাগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাবেক নির্বাচিত সম্পাদক। তিনি দীর্ঘকাল ছাত্ররাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পরপর দুই বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আপন দুই ভাই ছাড়াও এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল ওয়াহাব হামিদী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (বীর প্রতীক) ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।