আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

তিস্তাপাড়ে বারোমাসই কষ্ট, দেখার কেউ নেই, পানি কমে গেলেও কমেনি দুর্ভোগ

  • In জাতীয়
  • পোস্ট টাইমঃ ৫ অক্টোবর ২০২৩ @ ০৬:৪১ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৫ অক্টোবর ২০২৩@০৬:৫৮ অপরাহ্ণ
তিস্তাপাড়ে বারোমাসই কষ্ট, দেখার কেউ নেই, পানি কমে গেলেও কমেনি দুর্ভোগ

মিঠু মুরাদ
স্টাফ রিপোর্টার।।

তিস্তার দহগ্রাম এলাকার বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। ধানক্ষেত নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। তিস্তার পানি বাড়লে নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তাপাড়ের মানুষের বারোমাসই কষ্ট, দেখার কেউ নেই।

তিস্তার পানি কমলেও দুর্ভোগ মানুষের লালমনিরহাটে পাটগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও ভোগান্তি কমেনি মানুষের। চরের রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চরের নিম্নাঞ্চলে বসবাস করা পরিবারগুলো ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এছাড়া ডুবে যাওয়া আমন ক্ষেত থেকে পানি সরে গেলেও কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটছে না।

গতকাল তিস্তা ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই পয়েন্টে বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরও আগে দুপুর ১২টায় পানি প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাত পর্যন্ত বিপৎসীমার ৫০ সে.মি. উপর পর্যন্ত উঠতে পারে বলে ধারণা করছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের হাড়িপাড়া, বড়বাড়ি, মানিকের চড়, সরদার পাড়া, কাতিপাড়া ‘সহ তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। তবে এখন পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।

চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে এখনো কিছু বাড়িঘরে পানি রয়েছে। জেগে ওঠা রাস্তায় জমে আছে কাদামাটি। ফলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় পানিতে ডুবে রয়েছে আমন ক্ষেত। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপাড়ের কৃষকরা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম তিস্তার পানি রাত ১০ টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য আতংক কমতে শুরু করছে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights