।।শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুরে দু’টি জীবিত তক্ষকসহ বন্যপ্রাণী চোরাচালানী চক্রের চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের টেংরাখালী মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পাটকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন মন্ডল (৫২), কাউনিয়া উপজেলার নাজিরদহ গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে আবু সায়েম (৪৭) ও ফরিদপুরের মধুখারী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪২)। তারা সবাই ঢাকাতে বসবাস করেন।
এসপি জানান, জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাদের মিয়ার নির্দেশনায় এসআই আবু রকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল বুধবার রাতে মাদকবিরোধী অভিযানে নালিতাবাড়ী উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী তক্ষক চোরাচালানের খবর পেয়ে উপজেলা টেংরাখালি মোড়ে অভিযান চালায়। অভিযানে স্থানীয় আরিফ হাজীর দোকানের সামনে থেকে চোরাকারবারির হোতা রুহুল আমিন, আবু সায়েম ও আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসাথে সাথে হেফাজতে থাকা দু’টি জীবিত তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তক্ষক চোরাকারবারি একটি চক্র বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে উচ্চমূল্যে ভারতীয় হারবাল ঔষধ তৈরি প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে থাকে। ১৮ইঞ্চির একেকটি তক্ষক ১০থেকে ২০লাখ টাকায় বিক্রি করে তারা। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে তক্ষক কেনাবেচা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। একইদিন বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
প্রেস বিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার প্রমুখ।