আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নেত্রকোনায় বিবাহিত যুবতী ধর্ষণের আড়াই মাসেও আসামী ধরতে পারেনি পুলিশ, বাদীর ক্ষোভ

  • In সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ @ ০৪:০৬ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩@০৪:০৬ অপরাহ্ণ
নেত্রকোনায় বিবাহিত যুবতী ধর্ষণের আড়াই মাসেও আসামী ধরতে পারেনি পুলিশ, বাদীর ক্ষোভ

।।নেত্রকোনা প্রতিনিধি।।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার দায়েরের আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও আসামী সোহানুর রহমান ওরফে হেনু মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হেনু মিয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের মৃত ছদ্দু মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় মামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে কর্মরত।

এদিকে মামলার দায়েরের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন হেনু মিয়া। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও আসামী হেনুকে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদীসহ তার পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি, দ্রুত আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।

মামলার বরাতে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ ভাইয়ের জন্য পানি গরম করতে রান্নাঘরে গেলে অতর্কিতভাবে হেনু মিয়া ওই রান্নাঘরে প্রবেশ করে মুখে ওড়না চেপে ধরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিবাহিত এক যুবতীকে (২৫) ধর্ষণ করে। এ সময় ওই যুবতীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে গেলে হেনু দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হেনু মিয়াকে একমাত্র আসামী করে গত ১০ জুন কেন্দুয়া থানায় ধর্ষণের শিকার ওই যুবতী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে যান। এ সময় পুলিশ তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে ১৩ জুন আদালতে মামলাটি দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে গত ২৪ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে কেন্দুয়া থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পেমই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন বলেন, আসামী গ্রেফতারে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েও আসামীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলো একটাও সে বর্তমানে ব্যবহার করছে না। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক শাহীন বলেন, মামলার পর থেকেই হেনু মিয়া বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম খান জানান, প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে বিষয়টি অফিসকে জানিয়েছেন। আপাতত দপ্তরী হেনু মিয়ার বেতন বন্ধ রয়েছে। আমাদের এখানে শিক্ষা অফিসার নেই। অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন মোহনগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়। স্যারের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights