আজ ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা শেরপুর

  • In সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ৯ আগস্ট ২০২৩ @ ১২:৩১ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৯ আগস্ট ২০২৩@১২:৩১ অপরাহ্ণ
ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা শেরপুর

শাকিল মুরাদ
শেরপুর প্রতিনিধি।।

শেরপুর জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতায় শেরপুরে চার ধাপে ( ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে) ৯১৯টি সহ মোট ১৭১৬টি একক গৃহের বরাদ্দ করা হয়। এছাড়া গুচ্ছগ্রাম ও অন্যান্য উপায়ে ১৫৪টিসহ মোট ১৮৭০টি ভূমিহীন, গৃহহীন, আশ্রয়হীন, তৃণমূল ও প্রান্তিক পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ১৫৮১টি গৃহের উদ্বোধন করা হয়েছে এবং নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এবার শেরপুর সদরে ১০২টি ও শ্রীবরদীতে ৩৩টি ঘর নির্মাণ এবং হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ দুই উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হলো। এর মধ্য দিয়ে শেরপুর জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।

উপকারভোগীরা জানান, পরিবারের প্রায় প্রতিটা মানুষেরই ছিল না কোন ভিটামাটি; ঝুঁপড়ি ঘরে থেকে জীবিকার তাগিদে করেছেন ঝিয়ের কাজ, কেউবা করেছেন দিনমজুর, রাতে ঘুমাতে পারেনি শান্তিমত। এই মানুষগুলো কখনো ভাবেনি তাদের স্থায়ী ঠিকানা হবে, সেই মানুষগুলোই এখন এক খন্ড জমিসহ একটি পাঁকা ঘরের মালিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও দিয়েছেন।

ঝিনাইগাতীর বাঁকাকুড়া নতুন গুচ্চ গ্রামের উপকারভোগী কুসুম বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ির ঝুঁপড়ি ঘরে থেকে দিন পার করেছি। জীবনে খুব কষ্ট করেছি। এবার দুঃখের দিন শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন ঘর। তাই আমার স্বামী মোসা মিয়াকে নিয়ে সেখানেই থাকি। খুব আরামে আছি। স্যারেরা সব সময় খোঁজ-খবর নিতেছে।

শ্রীবরদীর সুবেলা কোচ বলেন, জীবনডা বইরা (ধরে) খুব কষ্ট করছি। এল্লা (একটু) মেঘ (বৃষ্টি) আইলেই (আসলেই) হুরহুর করে পানি পরতো। এখন আর পানি পড়ে না। পাক্কা বিল্ডিং ঘরে আরামে থাহি (থাকি)। আমরা ধন্যবাদ জানায় শেখের বেটি প্রধানমন্ত্রীকে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বিডিহেডলাইন্সকে বলেন, এসব ঘর নির্মানে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সব সময় খোঁজ-খবর নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুষ্ঠ পরিকল্পনায় এই বাড়িগুলো সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এসব বাড়ি পেয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানা পেয়েছে এসব মানুষ।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটা মানুষের স্বপ্ন থাকে একটি বাড়ির মালিক হওয়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব মানুষের জন্য তাই করেছেন। জমিসহ একটি বিল্ডিং ঘর পেয়ে তাদের জীবনমান পরিবর্তন হয়েছে। আমরা তাদের সব সময় খোঁজ-খবর রাখছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তাদের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছি।

এছাড়া যেহেতু সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুর। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, তাদেরকেও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জমিসহ ঘর করে দিয়েছি। শুধু তাই নয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা বাইসাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছি।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights