।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। সোমবার এই পরোয়ানা জারির দিনে ভিন্ন এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছেন ইমরান।
গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে অন্তত দেড়শ মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসবাদের মামলাও রয়েছে।
ইসলামাবাদে জারি করা পরোয়ানায় বলা হয়েছে, ইমরান খান নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়া অমান্য করেছেন এবং বারবার নোটিশ এবং জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারির পরও কমিশনের সামনে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ওই পরোয়ানার একটি ছবি অনলাইনে প্রকাশ করেছে। দলটি বলছে, পরোয়ানাটি লাহোরে ইমরান খানের বাড়িতে গ্রহণ করেছে তার আইনজীবী দলের এক সদস্য। ওই পোস্টে বলা হয়েছে, পিটিআই চেয়ারম্যানকে ২৫ জুলাই হাজির হওয়ার অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন। পিটিআই চেয়ারম্যান হাজির হবেন।
৭০ বছরের ইমরান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘আক্রমণাত্মক ভাষা এবং অবমাননাকর মন্তব্য’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শককে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে কমিশনের সামনে হাজির করার নির্দেশনা দিয়েছে।
পরোয়ানা জারির কিছুক্ষণ পর ইউটিউবে সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, তিনি জেলে যেতে প্রস্তুত। পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ইমরান খানের ভাষণ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন পাকিস্তানের মূল বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান।