আজ ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

লালমনিরহাটে ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু: বিপাকে খামারি

  • In সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ২১ জুলাই ২০২৩ @ ০৪:০৬ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২১ জুলাই ২০২৩@০৪:০৬ অপরাহ্ণ
লালমনিরহাটে ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু: বিপাকে খামারি

স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ বিপুল ইসলাম।।

ল্যাম্পি স্কিন রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে লালমনিরহাটে জেলায়। শত শত গবাদি পশু বিশেষ করে (গরু) ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জেলায় প্রায় ৩টি গরু মারা গিয়েছে বলে জানা গেছে। এ রোগে আক্রান্ত হলে পশুর চামড়া অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যায়। সঠিক চিকিৎসার অভাব হলেই অনেক সময় মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দেয়।

প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর জানায়, লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগের সঙ্গে গবাদি পশুর পক্স ভাইরাস জনিত রোগের সঙ্গে খুবই সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এই ভাইরাসটি এক গবাদি পশু থেকে আর এক পশুতে আক্রমণ করে। বিশেষ করে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের আক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ রোগটি হলে গবাদি পশুর প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে সাথে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়, দুই পায়ের মাঝে পানি জমে যায়। পশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়া ফুলে যায় ও লোম উঠে যায়। অনেক সময় দেখা যায় গরুর পানি পানে অনীহা তৈরি হয় এবং খাদ্য গ্রহণ কমে যায়। তাছাড়াও গাভী আক্রান্ত হলে দুধ উৎপাদন শূন্যের কোটায় নেমে আসে।

লালমনিরহাট সদরের আব্বাস উদ্দিন জানায়, তার বাড়িতে ৫ টি দেশী গরু আছে। তারমধ্যে ২টি গরুর ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে আক্রান্ত। এমন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছি। ৬ দিনে কিছুটা কমলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। পরে তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, সাধারণ চিকিৎসায় গবাদি পশুর এই রোগ সারানো সম্ভব। সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলায় ল্যাম্পি স্কিন রোগে গরু আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত গরুকে সঠিক ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বেশি আক্রান্ত যেনো না হয়, সে বিষয়ে বিভিন্ন উপদেশ দেওয়া হচ্ছে গরু পালনকারী খামারিদের।

একজন খামারি জানান- আমার খামারে বেশ কয়েকটি গরু আছে। একটি গরুতে ল্যাম্পি স্কিন আক্রান্ত হওয়ার পর আমি সেটাকে আলাদা করে ফেলি। কিন্তু গরুটি ছিল দুধ দেয়ার, এখন সেই গরুর থেকে পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছিনা। ফলে আপাতত দুধ দোয়ানো বন্ধ রেখেছি। তবে এই রোগ যদি আরো বেশি আকার ধারণ করে তাহলে আমাদের মত সাধারণ খামারিরা বিপাকে পড়বে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights