।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
একসময়ে এফবিআইয়ের তালিকায় মোস্ট ওয়ান্টেড সাইবার অপরাধী এবং পরিবর্তিত হ্যাকার কেভিন মিটনিক ৫৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। ১৯৯০ এর দশকে কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক জালিয়াতির জন্য প্রায় দুই বছর তাকে খুঁজে বেড়ায় ফেডারেল বাহিনী। পরে তাকে পাঁচ বছর কারাগারে কাটাতে হয়।
তবে ২০০ সালে মুক্তির পর নিজেকে পুনরায় আবিষ্কার করেন কেভিন মিটনিক। পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘সাদা হ্যাট’ হ্যাকার নামে। সাইবার নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং লেখক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের সঙ্গে ১৪ মাস দীর্ঘ লড়াই করে রবিবার মারা গেছেন কেভিন মিটনিক। তার মৃত্যুবার্তায় লেখা হয়েছে, কেভিন ছিলেন একজন আসল: তার জীবনের বড় অংশ ফিকশন গল্পের মতো পড়া যায়। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ফার্নান্দো উপত্যকায় মেধা নিয়ে নিরলসভাবে বেড়ে ওঠেন। দুষ্টুমির প্রতি ঝোঁক, কর্তৃত্বের প্রতি বিরুপ মনোভাব এবং জাদুর প্রতি ভালবাসা রাখা বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি।
১৯৯০ এর দশকে সরকারি ওয়েবসাইট, করপোরেট নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ভেঙে প্রবেশ করে মিটনিক কুখ্যাতি পেতে থাকেন। এসময়ে তিনি একবার প্যাসিফিক বিলের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে করপোরেট তথ্য এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করেন। মার্কিন মোবাইল নেটওয়ার্ক, করপোরেট, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সিস্টেম নষ্ট করতে মিটনিক লাখ লাখ ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন। তদন্তকারীরা তাকে বিশ্বের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হ্যাকার আখ্যা দেয়।
দুই বছর তল্লাশির পর ১৯৯৫ সালে কেভিন মিটনিককে গ্রেপ্তার করে এফবিআই। পরে তিনি কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হন। কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস করপোরেট বাণিজ্যের কোটি কোটি ডলার মূল্যের তথ্য রয়েছে মিটনিকের কাছে।
তবে ২০১১ সালে এক স্মৃতিকথায় মিটনিক বলেছেন, নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে তিনি কখনোই অর্থনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে তথ্য চুরি বা বিকৃত করেননি। তিনি লেখেন, ‘দাবা খেলা যারা ভালোবাসেন তারা জানেন অপর পক্ষকে হারানোতেই আনন্দ। আপনাকে তার রাজ্য লুট করতে হয় কিংবা তার সম্পদ জব্দ করে খেলা অর্থপূর্ণ করতে হয় না।’