রায়হান পারভেজ
বগুড়া (শেরপুর) প্রতিনিধি।।
নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ফেরৎ পাওয়ার দাবিতে এক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদের আয়োজন করেছেন বগুড়ার শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নের নাগরপাড়া গ্রামের অমূল্য চন্দ্র সরকার (৭৬)। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় তার বাড়িতে বিভিন্ন দাবিতে প্ল্যাকর্ড নিয়ে তিনি এই প্রতিবাদ করেন। এ সময় তার স্ত্রী ও কয়েকজন প্রতিবেশী উপস্থিত ছিলেন।
অমূল্য চন্দ্র সরকার বলেন, আমার ৫ কন্যার সাবার বিয়ে হয়েছে। আমি উপায় না দেখে নিজের সম্পত্তি রক্ষার জন্য বাড়িতেই প্রতিবাদ করছি। তিন বলেন, আমি পৈতৃক সূত্রে ৩২ শতাংশ ধানের জমির মালিক। আমি স্ত্রীকে নিয়ে জমি চাষ করে সংসার চালাই। কিন্তু আমার চাচাতো ভাই নির্মল চন্দ্র সরকার (৫৫) ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভুয়া একটি ওয়ারিশান সার্টফিকেট বের করে। সেখানে আমার পিতাকে নিঃসন্তান দেখিয়ে নিজে উত্তরাধিকার দাবি করে।
সেই সর্টিফিকেট উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিসে দেখিয়ে আমার ৩২ শতাংশ জমি তার দুই ছেলের নামে লিখে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি প্রতিবাদ করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১২ জুলাই বাড়িতে হামলা করে আমার স্ত্রীকে গুরুতর আহত করে। এই ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই কোন উপায় না দেখে আমি এই প্রতিবাদের আয়োজন করেছি।
বিশালপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রায় একমাস আগে নির্মল চন্দ্র সকারের ছেলে সুবাস সরকার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খারিজের আবেদন করেন। তখন ওয়ারিশান সার্টফিকেট জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পরে। এজন্য তাদের খারিজের আবেদনটি স্থগিত রাখা হয়েছে।
ওয়ারিশান সার্টফিকেট জালিয়াতির কথা স্বীকার করে বিশালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ভূমি অীফসে সুবাস সরকার যে ওয়ারিশন সার্টফিকেট দাখিল করেছ তা আমি সরবরাহ করি নাই। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তদন্ত করে জানতে পেরেছি প্রকৃত পক্ষে অমূল্য চন্দ্র সরকার পৈতৃকসূত্রে ওই জমির মালিক। এরকম একটি জাল সার্টিফিকেট দিয়ে কিভাবে জমি দলিল করা হলো তা আমার বোধগম্য নয়।
থানায় অভিযোগের বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবু কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।