।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের মধ্যস্থলে গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। শহরটিতে ফিফা নারী বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এই ঘটনায় পুলিশসহ আরও ছয়জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা ২২ মিনিটে একটি নির্মাণস্থলে গুলি চালানোর পর বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন।
নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেছেন, অকল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলীয় বাণিজ্য জেলায় ঘটে যাওয়া গোলাগুলির ঘটনা সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড নয়। নারী বিশ্বকাপ পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, হুমকিদাতাকে নিস্ক্রিয় করে ফেলেছে পুলিশ আর কুইন স্ট্রিটে ঘটনার পর এখন আর কোনো ঝুঁকি নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হামলার জন্য কোনো রাজনৈতিক কিংবা আদর্শগত উদ্দেশ্য এখনো শনাক্ত হয়নি।
বন্দুকধারী পাম্প-অ্যাকশন শটগান নিয়ে হামলা চালায় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্স ধন্যবাদ জানিয়েছেন ‘নিউজিল্যান্ড পুলিশের সাহসী পুরুষ ও নারীদের যারা বন্দুকের গুলিতে দৌড়ে গিয়েছিলেন, সরাসরি ক্ষতির পথে, অন্যদের জীবন বাঁচানোর জন্য। এই ধরনের ঘটনা দ্রুত ঘটতে থাকে এবং যারা অন্যদের বাঁচাতে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তাদের কাজ বীরত্বের থেকে কম নয়।’
অকল্যান্ডের মেয়র ওয়েন ব্রাউন জানিয়েছেন ফিফার সব কর্মকর্তা এবং ফুটবল দল নিরাপদ রয়েছে। তারা সকলে আশ্বস্ত রয়েছেন। টুইট বার্তায় ব্রাউন লিখেছেন, আমাদের সুন্দর শহরে এরকম কিছু কোনোদিন ঘটেছে বলে মনে পড়ে না। আজকের সকালের ঘটনা সব অকল্যান্ডবাসীর জন্যই হৃদয়বিদারক এবং হতাশাজনক, এটা এমন ঘটনা যাতে আমরা অভ্যস্ত নই।
নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীরতম শোক প্রকাশ করেছে ফিফা। এনিয়ে নিউ জিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।
নারী বিশ্বকাপের উদ্বোধনী খেলায় ইডেন পার্ক স্টেডিয়ামে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নরওয়ে। খেলাধূলা বিষয়ক মন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন বলেছেন, নিরাপত্তা পুনঃনিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নবম নারী বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করছে নিউ জিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি কনস্ট্রাকশন সাইটে এক ব্যক্তি অস্ত্র দেখাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরে সেই ব্যক্তি ভবনের ভেতর ঢুকে পড়ে গুলি চালানো শুরু করে। ওই ব্যক্তি লিফটের কাছে গেলে পুলিশ তাকে থামানোর চেষ্টা করে। তখন ওই ব্যক্তি আবারও গুলি চালায়, এবং কিছুক্ষণ পর তাকে মৃত পাওয়া যায়।