আজ ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

১০৮ রানের ব্যাবধানে বাংলাদেশের বড় হার: সমতা ফিরিয়ে আনলো ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল

  • In মাঠে ময়দানে
  • পোস্ট টাইমঃ ১৯ জুলাই ২০২৩ @ ১০:৪১ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ১৯ জুলাই ২০২৩@১০:৪১ অপরাহ্ণ
১০৮ রানের ব্যাবধানে বাংলাদেশের বড় হার: সমতা ফিরিয়ে আনলো ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল

।।ক্রীড়া প্রতিবেদক।।

প্রথম ওয়ানডে’তে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে দারুণ শুরু পাওয়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ম্যাচে আর চেনা গেল না। জেমাইমা রদ্রিগুয়েজের অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে কোন জবাব দিতে পারলেন না নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ভারত।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মেয়েদের ১০৮রানের বড় ব্যবধানে হারায় সফরকারী ভারত। আগে ব্যাট করে ভারত করে ৮উইকেটে ২২৮রান। জবাব দিতে নেমে ৩উইকেটে ১০৬থেকে ১২০রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে সফরকারীরা। ব্যাটে-বলে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়ার কারিগর জেমাইমা। ব্যাট হাতে ৭৮বলে ৮৬রান করার পর অফ স্পিনে ৩.১ওভারে মাত্র ৩রানে ৪উইকেট নিয়েছেন তিনি।

২২৯রান করে ম্যাচ জিততে রেকর্ড গড়তে হতো বাংলাদেশকে। কারণ এর আগে ২১০রানের বেশি তাড়া করার নজির নেই। বড় লক্ষ্যে শুরু থেকেই তাই চাপে পড়ে যায় জ্যোতির দল। পাঁচ ওভারের মধ্যেই ফিরে যান দুই ওপেনার। চারে নামা লতা মণ্ডল ১৪ তম ওভারে আউট হলে ৩৮রানে ৩উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। রানের মন্থর গতির সঙ্গে উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে যাওয়া বাংলাদেশের মেয়েরা প্রতিরোধ গড়ে চতুর্থ উইকেটে। রিতু মনিকে নিয়ে ইনিংস মেরামতে নামেন ফারজানা হক পিংকি।

দুজনের ৬৮রানের জুটি ভাঙেন দেবিকা বিদ্যা। এরপরই যেন তাসের ঘর বাংলাদেশের ইনিংস। অনিয়মিত বোলার হিসেবে বল করতে এসে একের পর এক উইকেট তুলতে থাকেন জেমাইমা। পিংকির ৮১বলে ৪৭রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিতু মনির ২৭। পুরো ইনিংসে আর একজনই পেরেছেন দুই অঙ্ক পেরুতে। ওপেনার মুরশিদা খাতুন করেছিলেন ১২ রান। অধিনায়ক জ্যোতিসহ বাকিরা ছিলেন যাওয়া আসার মিছিলে। ১০৬থেকে ১২০, স্রেফ ১৪রানের মধ্যে ৭উইকেট হারিয়ে প্রায় ১৫ওভার আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতের ইনিংসে পঞ্চম ওভারে আঘাত হেনেছিলেন মারুফা আক্তার। দারুণ ইনস্যুইঙ্গারে বোল্ড করে দিয়েছিলেন প্রিয়া পুনিয়াকে। পরে স্বস্তিকা ভাটিয়াকে রান আউট করে দলকে ভালো শুরু পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও স্মৃতি মান্ধানা, হারমানপ্রিত কাউর আর জেমাইমার ব্যাটে চাপ জারি রাখা যায়নি। ওপেনার স্মৃতি ৩৬রান করে আউট হলেও ফিফটি আসে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রিতের ব্যাটে।

তবে আসল কাজ করেছেন জেমাইমা। পাঁচে নামা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ৭৮বলে ৯চারে ৮৬রানের ইনিংস খেলে দলের পুঁজি নিয়ে যান বাংলাদেশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights