।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ”প্রায়োগিক স্বাক্ষরতা নিরূপণ জরিপ ২০২৩” শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জরিপে দেখা যায়, দেশে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার ৬০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬২ দশমিক ৮৪ শতাংশ ও নারী ৫৮ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বিবিএসের এক কর্মকর্তা জানান- যারা পড়তে, বুঝতে, ব্যাখ্যা ও যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং লিখিত ও মৌখিকভাবে গণনা করতে পারেন, তাদেরকে সাক্ষরতার আওতায় ধরা হয়। জরিপ উপস্থাপনকালে প্রকল্পের পরিচালক মোস্তফা আশরাফুজ্জামান বলেন- সাক্ষরতার হার গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। গ্রামে এ হার ৫৬ দশমিক ১২ শতাংশ এবং শহরে ৭১ দশমিক ০৬ শতাংশ।
তিনি আরও জানান- এই হার গণনার জন্য জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। একজন ব্যক্তি যদি ন্যূনতম ৫০ নম্বর পেতে সক্ষম হয়, তবে তাকে কার্যকরীভাবে সাক্ষরতার আওতায় বিবেচনা করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী- ৭-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তাদের মধ্যে মেয়েদের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা ছেলেদের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।
১১-৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ২০১১ সালের ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশের তুলনায় এবার বেড়ে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় এই হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও গ্রামীণ এলাকায় ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ। সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব বয়সীদের ক্ষেত্রেই একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। তবে, ৭ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে এ হার ৬২ দশমিক ৯২ শতাংশ।
জরিপটি ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে দেশের সব জেলায় পরিচালিত হয়েছে। জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন- ”আমরা ভালো ব্যবধানে উন্নতি করেছি। মেয়েরা ভালো করছে, যা দেশের জন্য একটি ভালো লক্ষণ। তবে এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে হবে”।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস এর মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক উত্তম কুমার দাস।