আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সুনামগঞ্জে কাঁঠাল কান্ডে নিহত ৩ আহত ৪০

  • In সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ১০ জুলাই ২০২৩ @ ০৬:৩০ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ১০ জুলাই ২০২৩@০৬:৪০ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জে কাঁঠাল কান্ডে নিহত ৩ আহত ৪০

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে মসজিদে দানকৃত একটি কাঠাল নিলামে তোলা এবং দাম হাকাঁনো নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু”পক্ষের সংঘর্ষে ৩জন নিহত এবং উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে আটক করেছে। তবে আরো ২/৩ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।

১০ জুলাই সোমবার সকাল ১১টায় গ্রামের মধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন মো. বাবুল মিয়া(৫৮),তিনি ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামের মৃত ছুফি মিয়ার ছেলে,অপর নিহত হলেন একই গ্রামের নুরুল ইসলাম(৪২),পিতা অঞ্জাত এবং মো. শাহজাহান(৩৬) তিনি হাসনাবাজ গ্রামের আব্দুল বাছিতের ছেলে। তাৎক্ষনিক আহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,হাসনাবাজ গ্রামের মসজিদে এক ব্যাক্তি একটি কাঠাল দান করেন। মসজিদে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এই কাঠালটি নিলামে তোলা হয় এবং দাম হাকাঁনো হয়। এতে গ্রামের দ্বীন ইসলামের পক্ষের লোকজন দামের কথা শুনা যাচ্ছে না বলে আওয়াজ তুললে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সুনু মিয়া ও জুনাব আলী গংরা বলে উঠেন মসজিদের ভেতরে অবস্থানকারী সবাই শুনলেও তোমরা কেন শুনতে পাওনি এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাাকটি হয়।

এরই জের ধরে সকালে দ্বীন ইসলামের লোকজনের সাথে প্রতিপক্ষ সুনু মিয়া ও জুনাব আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে দ্বীন ইসলামের পক্ষের বাবুল মিয়া(৫৮) ও নুরুল ইসলাম(৪২) ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং সুনু মিয়া জুনাব আলী গংদের পক্ষে মো. শাহজাহান মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাস্তায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়াঁলো ৩ জনে। এতে উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হন। তবে তাৎক্ষনিক আহতদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আব্দুল বাছিত সুজন জানান,গতকাল রোববার রাতে এবং আজকে ভোরে আসনাবাজ গ্রামে গিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের সাথে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করে কথা বলেছি।

উভয়পক্ষের লোকজন আমাকে আ্স্থবে বলেছিলেন যে, কোন পক্ষই মারাামরিতে যাবেন না। এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের শান্ত করে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে আমি চলে আসার পর শুনতে পাই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একটি কাঠাল নিয়ে এমন অনাকাংঙ্খিত ঘটনা খুবই দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়, এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক ৩জনকে আটক করেছে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights