রফিক প্লাবন
দিনাজপুর।।
ঠাকুরগাঁওয়ের চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ ইউসুফ আলী (৩৮) কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ রংপুর সদর ব্যাটালিয়ন, দিনাজপুর সিপিসি-১ এবং র্যাব-৪ সাভার সিপিসি-২ যৌথভাবে ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন নইয়ারহাটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। আটককৃত মোঃ ইউসুফ আলী ঠাকুরগাঁও জেলার খামার ভোবলা এলাকার মোঃ আঃ ছালাম এর ছেলে।
আজ শনিবার রাতে র্যাব-১৩, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী (সিপিসি)-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সিপিসি-১ দিনাজপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি তারিখে অভিযুক্ত আসামী মোঃ ইউসুফ আলী তার নিজ কন্যা ভিকটিমকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এলাকাবাসীর নিকট আরও জানা যায় যে, ভিকটিমের মা সাংসারিক কাজ করতে গিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আগুনে পা পুড়ে যায় এবং দীর্ঘ ৩ মাস মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সে সুযোগে বাবা (আসামী মোঃ ইউসুফ আলী) ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা দীর্ঘ ৩ মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন ভিকটিম কোন খাবার গ্রহণ করলেই বমি করছে। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় ভিকটিমের মা ভিকটিমকে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চাইলে আসামী (ভিকটিমের বাবা) বাঁধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। ধৃত আসামী (ভিকটিমের বাবা) ও তার সহযোগীরা উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিমের গর্ভপাত ঘটায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ০১/০৭/২০২৩ ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানায় এজাহার দায়ের করে। যার মামলা নং-০১/২২৫, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০(সংশোধণী-২০০৩) এর ৯(১)/৩১৩/৩৪২/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যম সমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর ধর্ষক বাাবের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১৩, রংপুর ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মোঃ ইউসুফ আলী উপরোক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামীকে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।