।।স্টাফ রিপোর্টার।।
দরিদ্র ও এতিম তহবিলের বড় একটি আয়ের উৎস কোরবানির পশুর চামড়া। কিন্তু এবার ঈদে লালমনিরহাটে পশুর চামড়ার তেমন ভালো দামে বিক্রি করতে না পাড়ায় বিপাকে পড়েছে মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা।
সরকারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সহযোগিতাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজনের আর্থিক সাহায্যের মধ্য দিয়ে লালমনিরহাট তথা দেশের মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। আর এই সব মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোর বার্ষিক আয়ের একটি অন্যতম উৎস কোরবানির পশুর দানকৃত চামড়া যা বিক্রি করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ ও খাবারের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছরে অনেকটা কম দামে চামড়া বিক্রি হওয়ায় মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো আর্থিক সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনেরা।
কোরবানির চামড়া সংগ্রহকারী মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। লালমনিরহাট সদরের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা মুফতি এনামুল হাসান কাসেমী (৩৫) বলেন- এবার আমরা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। আমরা আমাদের আর্থিক সহযোগিতা পাইনি।
আউলিয়ার মাঠ মরহুম শবজান আলী নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মোঃ হামিদুল ইসলাম(৩৩) বলেন, কোরবানির চামড়া বিক্রির টাকায় মূলত দুস্থ ও এতিম শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে খাবার-দাবার তো আছেই। আর এই আয় কমে গেলে এই খাতে বরাদ্দ কমে যায়। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা আতিকুল রহমান (৪০) জানান, চামড়া কিনে আবার কোম্পানির মালিকদের কাছে বিক্রি করতে হয়। এরপর ট্যানারি মালিকরা এ চামড়ায় লবণ দেন। সেখানেও রয়েছে একটি খরচ। ফলে তৃণমূল পর্যায় থেকে কম দামেই চামড়া কিনতে হয়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, সরকার সব সময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে ইতিমখানা ও মাদ্রাসা গুলোকে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর পর্যাপ্ত পরিমাণ সাহায্য ও সহযোগিতা করা হয় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে।