।।কূটনৈতিক প্রতিবেদক।।
ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, ও মাঝারি আকারের ব্যবসা বিশ্বজুড়েই অর্থনীতি, সমাজ ও জীবনযাত্রায় বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে। এসব ব্যবসা বেকারত্ব কমায়, প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে গতি আনে এবং নতুন বাজার ও শিল্পের অনুসন্ধান করে। এ সত্ত্বেও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহ প্রক্রিয়ার বিঘ্ন ঘটলে এই ব্যবসাগুলোই সবার আগে ঝুঁকিতে পড়ে। মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহ প্রক্রিয়ার বিঘ্নের কারণে পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিই ধাক্কা খেয়েছে। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসাগুলোর মালিক সিংহ ভাগই তরুণ প্রজন্ম ও নারীরা এবং তারাই সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এমন মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার (২৭ জুন) ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা দিবস।
ঢাকায় অবস্থিত জাতিসংঘ কার্যালয় জানিয়েছে, এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের ওপর এবং সরবরাহ প্রক্রিয়ার দ্রুত পুনরুদ্ধারের ওপর। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাণীতে বলেন, আমাদের অবশ্যই এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাবান্ধব হয় এবং বাজার ও আর্থিক বিষয়াদীতে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক অন্তর্ভূক্তিকরণকে তরাণ্বিত করে। এই ব্যবসাগুলোকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম করে তোলা আমাদের প্রয়োজন এবং আমাদের টেকসই সরবরাহ প্রক্রিয়ায় গড়ে তোলা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে কর্মীরা উপকৃত হবে এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। অসমতা হ্রাসে, জীবনমানের উন্নয়নে এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় আমরা ক্ষুদ্র,অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির ব্যবসার শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষগুলোর পাশে আছি এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন প্রচেষ্টায় আমরা সহযোগিতা করছি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, আসুন আমরা একত্রে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির ব্যবসাগুলোকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভূমিকা রাখতে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করি।