আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভোমরা বন্দরে চাঁদাবাজি বন্ধের হুশিয়ারী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের

ভোমরা বন্দরে চাঁদাবাজি বন্ধের হুশিয়ারী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের
ছবি- ফাইল ছবি

।।সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।

গত ২১ জুন থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে চলছে ট্রাকপ্রতি ২০০ রূপি হারে চাঁদাবাজির মহোৎসব। ফলে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক আমদানি রপ্তানী। ঐ দিন সকাল ১০ টা থেকে চাঁদাবাজির কারণে ৪ ঘন্টা আমদানি-রপ্তানী বন্ধ থাকার পর পচনশীল পন্য পরিবহনের জন্য সিএন্ডএফ এসাসিয়েশনকে ২০০ রুপি চাঁদা দিয়েই বন্দরে পন্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে।

পরদিন ভোমরা আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির জরুরী বৈঠকে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের চাঁদাবাজি বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু কোন পক্ষের দাবী ও অনুরোধকে তোয়াক্কা না করে ভোমরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে।

আসন্ন পবিত্র ঈদ ইল-আযহা উপলক্ষে জনভোগান্তি এড়াতে সিএন্ডএফকে ২০০ রুপি করে চাঁদা দিয়ে বন্দরে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করছে। এদিকে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা রপ্তানিকারক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে বন্দরে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে ঈদের পর থেকে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।

শুক্রবার (২৩ জুন) ঘোজাডাঙ্গা রপ্তানিকারক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ.কে.এম জিয়াউল হক চৌধুরি ও সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহাজী স্বাক্ষরিত এক পত্রে ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে অবিলম্বে চাঁদা আদায় বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় ঈদের পর থেকে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেওয়া হয়। উক্ত পত্রের অনুলিপি ভোমরা আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতি ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে প্রদান করা হয়। ফলে ঈদের মধ্যে চাঁবাবাজি বন্ধ না হলে ভোমরা স্থলবন্দরে অস্থিতিশীলতা ও বন্দরে আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, গত গত ৩০মে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম মাকছুদ খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ট্রাক প্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানানো হয়। যা গত ৮ জুন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। চিঠি পাওয়ার পর গত ২ জুন ভারতের ঘোজাডাঙ্গা রপ্তানিকারক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ.কে.এম জিয়াউল হক চৌধুরি ও সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহাজী স্বাক্ষরিত এক পত্রে ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বাড়তি চাঁদা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়।

সামগ্রিক এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে ভোমরা আমদানি রপ্তারী কারক সমিতির সাথে আলোচনার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু এমন অবস্থার মধ্যে গত ২১ জুন থেকে ভারতীয় ট্রাক থেকে ২০০ রূপি হারে চাঁদা আদায় শুরু করে ভোমরা সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশন।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights