আজ ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

টাইটানিকের পাশেই মিললো টাইটান

  • In আন্তর্জাতিক
  • পোস্ট টাইমঃ ২৩ জুন ২০২৩ @ ১২:০৪ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২৩ জুন ২০২৩@১২:০৪ অপরাহ্ণ
টাইটানিকের পাশেই মিললো টাইটান

।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।

আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গেছে টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসস্তূপ। বৃহস্পতিবার টাইটানিক থেকে ১৬০০ ফুট দূরে ডুবোজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় একটি রোবট ডুবোযান। এর মধ্য দিয়ে ডুবোজাহাজের সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা।

গত রবিবার সমুদ্র পর্যটনে সাবমেরিনটি পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশানগেট। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত রবিবার টাইটান যোগাযোগ হারিয়ে ফেলার পর তারা সমুদ্রে বিস্ফোরণের শব্দ শনাক্ত করেছেন। এছাড়া এর আগে পাওয়া আরেকটি শব্দ ওই এলাকায় থাকা অন্য একটি জাহাজ থেকে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের আশপাশে আরও ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। সেগুলোর মধ্যে টাইটান সাবমেরিনের বড় পাঁচটি টুকরার সন্ধান পাওয়া গেছে। সাবমেরিনটি বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কখন সেটি বিস্ফোরিত হয়েছে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

সাবমেরিনের আরোহীরা ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং (৫৮), পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (৪৮) এবং তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য পল অঁরি নাজোলে এবং ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ। এদের মধ্যে হামিশ হার্ডিং অভিযাত্রী। মহাকাশের পাশাপাশি কয়েক দফা দক্ষিণ মেরু অভিযান চালিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের শীর্ষ ধনী পরিবারের সদস্য শাহজাদা দাউদ যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন। তার ছেলে সুলেমান ছিলেন শিক্ষার্থী। পল অঁরি নাজোলে ছিলেন টাইটানিক বিশেষজ্ঞ। এর আগেও টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়েছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, টাইটানিক ডুবে যায় ১৯১২ সালে। উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights